ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ চলছিল বৃহস্পতিবার। প্রতিষ্ঠানের লাভজনক কার্গো হ্যান্ডেলিং বিভাগকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ঊদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদেই বেলা ১১টার দিকে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে বিক্ষোভ শুরুর পরপরই হাজির হন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন স্টিল।
সমাবেশে উপস্থিত হয়েই কেভিন হ্যান্ড মাইক নিয়ে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। আন্দোলনকারীদের কথা না শুনে তিনি বিমানের নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে বোঝাতে শুরু করেন। এ সময় কর্মীরা এমডির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। এ পর্যায়ে কেভিন নিজেই কিছুটা রুষ্ট হয়ে আবারো বক্তব্য দিতে উদ্যত হন। শুরু হয় মুহুর্মূহু শ্লোগান। তারা এমডিকে সমাবেশ থেকে চলে যেতে বলেন। এ ঘটনার পরপর পুলিশ চলে আসে। পুলিশ দেখে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। শেষ পর্যন্ত বিমানের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কেভিনকে এক প্রকার টেনে জোর করে সমাবেশস্থল থেকে নিয়ে যান। এরপর আন্দোলনকারীরা শান্ত হন।
এতে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সে সকাল থেকেই উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করে। পরে বেলা একটার দিকে শ্রমিকদের সমাবেশ শেষ হয়। সমাবেশ শেষে কর্মীরা কেভিনের সঙ্গে দেখা করেন। তবে কেভিনের সঙ্গে এই সাক্ষাতে কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসেনি।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিবিএ সভাপতি মুশিকুর রহমান বলেন, কার্গো হ্যান্ডেলিং বিভাগকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিবিএর সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মুনতাসার রহমান, দফতর সম্পাদক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
মশিকুর রহমান বলেন, যদি বিমানের চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন তাহলে আমরা আন্দোলনে যাবো না। নতুবা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সংস্থার লাভজনক কার্গো হ্যান্ডেলিং বিভাগকে বিদেশিদের হাতে তুলে সব প্রক্রিয়া বন্ধ করবো।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিমানকে চিরতরে পঙ্গু করে দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন কেভিন স্টিল।