স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: নতুন আঙ্গিকে মানবিকতা, বিচক্ষণতার সাথে, সততাকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পদক্ষেপে গাছা থানা সম্বন্ধে প্রচলিত ধারণা পাল্টায়। সেবা পরায়ণ ও অপরাধীদের সংশোধনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ’র মুখ্য ভুমিকায় গাছা থানায় কর্মরত সকলেই মিলে নির্লোভ, নিরলস কাজ করছেন। যে সকল জনসাধারণ ও ভুক্তভোগী, এমনকি মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে গিয়েছিল। জামিনে মুক্তি পেয়ে এবং মাদকাসক্ত তরুণেরা মাদক ছেড়ে দিয়ে গতবছর থেকে এই থানায় এসেছিলেন পুলিশ কর্তৃক প্রাপ্ত সেবার জন্য। তারাই অতীত ও বর্তমানের সেবার মান সম্পর্কে তুলনা করে সন্তোষ প্রকাশ করে অফিসার ইনচার্জের সাথে দেখা করেছেন। এ থানা শিল্পাঞ্চল ঘোষিত এলাকা বিধায় প্রতিনিয়ত ভাই-ভাই-বোন ওয়ারিশগণের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। অফিসার ইনচার্জ এই জন্য নিয়েছেন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভুমিকা। ২৭ বছরের মামলা ঝুলে থাকা সত্ত্বেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি কুনিয়া পাচরের মৃত হাছেন আলীর ওয়ারিশগণের।
তৎকালীন সিরাজুল ইসলাম গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বর্তমান ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁরা যেখানে মিমাংসা করতে পারেননি। সেখানে অফিসার ইনচার্জ সফলতা অর্জন করেন। সব ভাই-বোনদের সমঝোতার ভিত্তিতে মিমাংসা করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। একইরকম ভাবে কোর্টের মামলার চাপ কমাতে কারো জমি-জমা নিয়ে পারিবারিক কোন্দল নিয়ে থানায় মামলা রুজু করতে আসা সেই সব দীর্ঘদিনের কোন্দল ও কোন প্রকার বিনিময় ছাড়াই নিষ্পত্তি করেছেন। এ থানার সেবার পদ্ধতি, অপরাধ জীবন থেকে মুক্তির পরে সৎ ভাবে আয়ের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দরকার। অপরাধীদের ব্যক্তিগত সমস্যা জানাইলে কর্মকর্তাদের আমলে নেওয়া ও তা সমাধান করার জন্য থানা কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় অনেক অপরাধীকে জীবনে দুশ্চিন্তা দূর করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ থানায় এক ব্যতিক্রম ধর্মী সেবার ব্যবস্থাও বিদ্যমান। প্রতিদিন গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে একজন চল্লিশোর্ধ হাজতির রক্তচাপ মেপে দেখেন। অসুস্থ গ্রেফতারকৃত আসামীর খুঁজে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেন।
প্রতিবেদক গাছা থানায় গ্রেফতার হওয়া হাজতিদের দেখতে গেলে এক ভিন্ন চিত্র চোখে পরে। হাজতিদের সাথে কম সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা সহকারে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছেন। কাউকেই বিনা অপরাধে আটকে গ্রেফতার বাণিজ্য করেন না গাছা থানা কর্তৃপক্ষ। মাদকাসক্ত তরুণদের মাদক ছেড়ে দিয়ে মুক্ত জীবনে অপরাধ প্রবণতা দূর করে সৎভাবে জীবন যাপনের প্রচেষ্টায় অটুট ভূমিকা পালন করেন।
গাছা থানায় এ পরিবর্তন কেন সম্ভব হয়েছে জানতে চাইলে জনৈক দর্শনাথী জানান, ১০ বছরে অভিজ্ঞ গাছা থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট থেকে শিক্ষণীয় বিষয় আছে।
প্রতিবেদক পুনরায় গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে বলেন, থানার কার্যক্রমের মাধ্যমে এ থানার আওতাধীন অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে থানাকে সংশোধনাগারে রুপান্তরের জন্য জিএমপি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে গতানুগতিকতা পরিহার করে জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং মানব হিতৈষী সেবা প্রদানই যেন তাদের লক্ষ্য।