গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ গোপালগঞ্জে পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ দুইজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মনির মল্লিক (২২) নামে এক ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে ও রোববার গভীররাতে গোপালগঞ্জ শহর এবং কাশিয়ানী উপজেলার তাড়াইল গ্রামে এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো গোপালগঞ্জ শহরের কবরস্থান রোডের গফ্ফর মুন্সির ছেলে সাদ্দাম মুন্সি (১৫) সে গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে গফ্ফার (৩৫)।
আটক ডাকাত মনির বাগেরহাট জেলার কাটাখালি গ্রামের মোস্তাফিজ মল্লিকের ছেলে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান, কিছুদিন আগে সিনেমা দেখা নিয়ে সাদ্দামের সঙ্গে তার বন্ধুদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনার জের ধরে রোববার সন্ধ্যায় সাদ্দামের বন্ধুরা গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে সোদ্দামকে ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তী লেকপাড়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদ্দাম মারা যায়।
অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে তারাইল গ্রামে একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে গফ্ফার নামে এক ডাকাতকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার সহযোগী মনির গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গভীররাতে ঘটনাস্থল থেকে গফ্ফারের লাশ উদ্ধার করে।
সোমবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ মনিরকে আটক করে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, নিহত গফ্ফার ও মনির ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ঘটনাস্থলে ডাকাতির মালামাল ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।