স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে খেলে কিন্তু ম্যান ইউয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের নাম না এসে, বসতে পারতো স্পেনের আরেক ক্লাবে ভ্যালেন্সিয়ার নাম। কেননা ২০০৬ সালেই ভ্যালেন্সিয়ায় খেলতে রাজি হয়েছিলেন রোনালদো। এমনটাই দাবি করেছেন ভ্যালেন্সিয়ার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর অ্যামেদো কারবোনি।
জার্মানিতে হওয়ার ২০০৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল রোনালদোর পর্তুগাল। আলো কেড়েছিলেন রোনালদো নিজেও। তবে সে আসরেই ম্যান ইউর ইংলিশ সতীর্থ ওয়েইন রুনির সঙ্গে ঝগড়া বেঁধে যায় রোনালদোর। এরপরই তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ক্লাব ছেড়ে দেয়ার।
শুধু রুনি নয়, ক্লাবের অন্যান্য ইংলিশ খেলোয়াড়দের সঙ্গেও সম্পর্কটা ভাল যাচ্ছিল না মাত্র আড়াই মৌসুম ম্যান ইউতে কাটানো রোনালদোর। তিনি এতে নিজের কোনো দোষ দেখেননি এবং ২০০৬ সালের জুলাই মাসে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আমার এখন ম্যানচেস্টার ছেড়ে যাওয়া উচিৎ। এখানে পরিস্থিতি খেলার মতো নয়। শিগগিরই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবো।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি সবসময়ই বলেছি, আমি স্পেনে খেলতে চাই। ম্যানচেস্টার কেউ আমার পক্ষে দাঁড়ায়নি। অথচ আমি কারও কোনো ক্ষতি করিনি।’ রোনালদোর এমন মন্তব্যের পরই ভ্যালেন্সিয়ার পক্ষ থেকে তাকে দলে নেয়ার ব্যাপারে সব কথা চূড়ান্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কারবোনি।
তার ভাষ্য, ‘আমি ঠিক সময়ে সেখানে যাই। তখনকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নতির বড় অংশ পাচ্ছিল ভ্যালেন্সিয়া। রোনালদোকে দলে নেয়ার জন্য অর্থের উৎসও পেয়ে যাই আমরা। নাইকি এবং কোকাকোলার সঙ্গে মিলে আমরা সব ব্যবস্থা করে ফেলি। রোনালদো তখন বছরে ১ কোটি উপার্জন করে, যা ভ্যালেন্সিয়ার মতো ক্লাবের জন্য অনেক বেশি।’
‘এরপর এমন একটা সময় আসলো, যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না রোনালদোর। ২০০৬-০৭ মৌসুমে বোমা ফাটানোর অপেক্ষায় ছিল ভ্যালেন্সিয়া এবং এতে রোনালদোর সম্মতিও পেয়েছিলাম। তার এজেন্টের সঙ্গেও সবকিছু ঠিক করে ফেলেছিলাম। কিন্তু শেষপর্যন্ত চুক্তিটি আলোর মুখে দেখেনি।’
ফলে তখন আর ম্যানচেস্টার ছেড়ে স্পেনে পাড়ি জমানো হয়নি রোনালদোর। ম্যান ইউর হয়ে খেলেই জেতেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি অর। পরে ২০০৯ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে এবং এখানে এসে পেয়ে যান আরও চারটি ব্যালন ডি অরসহ দলীয় সব সাফল্য।