বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > অনুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিক বিয়ে করতে পারবে না সরকারি কর্মচারীরা

অনুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিক বিয়ে করতে পারবে না সরকারি কর্মচারীরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: পূর্বানুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিক বিয়ে করলে চাকরিচ্যুত হবেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। এ সংক্রান্ত একটি বিল বর্তমান সংসদের আসন্ন অষ্টম অধিবেশনে পাস হতে পারে। বিলটি পাস হওয়ার রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে। এরপর থেকে প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ছাড়া বিদেশি নাগরিক বিয়ে করলেই চাকরি হারাবেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সপ্তম অধিবেশনে গণ কর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সাথে বিবাহ) বিল, ২০১৫ সংসদে উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এরপর বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

কমিটি বিলটি যাচাই বাছাই শেষে পাসের জন্য সংসদ সচিবালয়ে পাঠিয়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া অষ্টম অধিবেশনেই বিলটি পাস হতে পারে বলে জানা গেছে।

এই বিল ছাড়াও অষ্টম অধিবেশনে জন্য ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪টি বিল জাতীয় সংসদের আইন শাখায় তালিকাবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি নতুন বিল রয়েছে।

গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সাথে বিবাহ) বিলটি পাস হলে তা গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সাথে বিবাহ) আইন, ২০১৫ নামে অবহিত হবে। উত্থাপিত বিলে হয়েছে, অন্য কোন আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কোন গণকর্মচারী পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোন বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করলে তাকে বিধি লংঘনের দায়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। অনুপতি প্রাপ্ত না হলে কোন গণকর্মচারী বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করতে বা বিয়ে করার আশ্বাস দিতে পারবেন না। এজন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিয়ে করার বা এ বিষয়ে কাউকে প্রতিশ্রতি দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি বরাবরে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। অনুপতি পাওয়ার পরই কেবল বিয়ে করা যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দি পাবলিক সার্ভেন্টস ( ম্যারিজ উইথ ফরেইন ন্যাশনালস) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালের ১০ জুলাই জারি হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ২০১৩ দ্বারা কার্যকর রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশসমূহ বাংলায় প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ পূর্বক গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সাথে বিবাহ) আইন, ২০১৫-এর বিল প্রণয়ন করা হয়।

অষ্টম অধিবেশনে আরও কয়েকটি বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ছুটি, অবসরকালীন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংসদের আইন শাখা হতে জানা গেছে।

জাতীয় সংসদের লেজিসলেটিভ ড্রাফটস কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন এন্ড প্রিভিলেজেস) সংশোধন বিল চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে। আগামী ৯/১০ নভেম্বর কমিটি সভাপতি সুস্থ থাকলে একটি মিটিং করে তা পাসের জন্য পাঠানো হতে পারে। এছাড়া গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সাথে বিবাহ) বিলও রয়েছে।

আসছে অষ্টম অধিবেশনে কমিটিতে বিবেচনাধীন বিলের মধ্যে রয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন এন্ড প্রিভিলেজেস) সংশোধন বিল ২০১৫, বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল ২০১৫, উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভী (আরোপ ও আদায়) বিল ২০১৫, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) বিল ২০১৫, ট্রেডমার্ক (সংশোধন) বিল ২০১৫, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল ২০১৫, পোর্টস (সংশোধন) বিল ২০১৫, দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল ২০১৫, বাংলাদেশ কয়েনস (সংশোধন) বিল ২০১৫, গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সহিত বিবাহ) বিল ২০১৫।

অষ্টম অধিবেশনে ৪ নতুন বিল

এর বাইরে অষ্টম অধিবেশনে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন চারটি বিল জমা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, উদ্বৃত্ত সরকারি কর্মচারী আত্তীকরণ বিল ২০১৫, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ২০১৫, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিল ২০১৫, রাষ্ট্রপতি অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা বিল ২০১৫। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম