শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > ‘অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি করেন ৮৮ ভাগ বিক্রেতা’

‘অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি করেন ৮৮ ভাগ বিক্রেতা’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পৌর এলাকায় ১৮ বছরের নিচের ক্রেতাদের কাছে ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ বিক্রেতা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করেন। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের দোকানের উপস্থিতি ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ আর ৫০০ মিটারের বাইরে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ।

বুধবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় এইড ফাউন্ডেশন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারীদের ব্যবসার প্রকৃত পরিস্থিতি অন্বেষণকল্পে, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ছয় পৌরসভায় (ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও রাজবাড়ী) একটি পর্যবেক্ষণ জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের তথ্য সংগ্রহের জন্য গুণগত এবং পরিমাণগত উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। জরিপে দৈবচয়ন এবং উদ্দেশ্যপ্রোণিত নমুনায়ণের ভিত্তিতে মোট ৬২টি নমুনা নির্বাচন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি তামাকজাত দ্রব্য ব্যবসায়ী।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, সামগ্রীকভাবে প্রকল্প চলাকালীন এলাকায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্স গ্রহণকারীর সংখ্যা ৭৯ শতাংশ, লাইসেন্স গ্রহণ করেনি ২১ শতাংশ। প্রকল্প চলাকালীন এলাকার মধ্যে রাজবাড়ী, মাগুরা ও ঝিনাইদহ পৌরসভায় লাইসেন্স গ্রহণের হার ২০.৪ শতাংশ, মেহেরপুরে ২৪.৫, যশোরে ১৪.৩ এবং কুষ্টিয়া পৌরসভায় শূন্য শতাংশ। লাইসেন্স নেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ১-৬ মাসে গ্রহণ করেছে ১০.২ শতাংশ, ৭-১২ মাসে গ্রহণ করেছে ৭৩.৫ শতাংশ এবং ১২ মাসের পরে লাইসেন্স করেছে ১৬.৩ শতাংশ।

তামাকজাত দ্রব্য লাইসেন্সিং নীতিমালা আছে ৬৭.৭ শতাংশ পৌরসভায়, নীতিমালা নেই ৩২.৩ শতাংশ পৌরসভায়। প্রকল্প চলাকালীন এলাকার মধ্যে রাজবাড়ী, মাগুরা ও ঝিনাইদহ পৌরসভায় লাইসেন্সিং নীতিমালা প্রদানের হার ২৩.৮০ শতাংশ, মেহেরপুর পৌরসভায় ২৮.৬ শতাংশ এবং যশোর ও কুষ্টিয়া পৌরসভায় হার শূন্য শতাংশ।

সামগ্রীকভাবে উল্লেখিত পৌরসভার এলাকায় ১৮ বছরের নিচের ক্রেতাদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের শতকরা হার ৮৮.৭ শতাংশ, বিক্রয় করে না ১১.৩ শতাংশ। তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭.৮ শতাংশ কোম্পানি কর্তৃক তামাকের বিজ্ঞাপণ দ্বারা সজ্জিত করে ও ১২.২ শতাংশ বিক্রেতারা নিজেরাই সজ্জিত করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের দোকানের উপস্থিতি ৩৩.৯ শতাংশ, আর ৫০০ মিটারের বাইরে ৬৬.১ শতাংশ। তামাকজাত দ্রব্য লাইসেন্সিং ব্যবস্থার জন্য সুবিধাপ্রাপ্ত হচ্ছে ৯২.৯ শতাংশ ও কোনো সুবিধা পায় না এ ধরনের দোকানের হার ৮ শতাংশ। লাইসেন্স গ্রহণের ফলে বিক্রেতারা যে ধরনের সুবিধা ভোগ করেন তার মধ্যে ৪৫.৭ শতাংশ বলছেন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে তাদের সুবিধা হয়েছে, ২১.৩ শতাংশ বলছেন আয়কর সংগ্রহে সুবিধা হচ্ছে এবং ৩৩ শতাংশ বিক্রেতারা বলছেন পাইকারী বিক্রয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নির্দেশিকা প্রণয়ন করার দাবি জানায় সংস্থাটি।

এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি আবু নাসের খান, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন প্রমুখ।
সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম