বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > অভিভাবকরা রাজি হলেই স্কুল বাস: শিক্ষামন্ত্রী

অভিভাবকরা রাজি হলেই স্কুল বাস: শিক্ষামন্ত্রী

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভাগীয় শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াত ব্যবস্থায় বিআরটিসি বাস দিতে প্রস্তুত রয়েছি, অভিভাবকরা রাজি হলে এখনই গাড়ি দেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একথা বলেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর ৭১ বিধিতে উত্থাপিত নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। নোটিশে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য স্কুল বাস দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোর যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এবং এর
সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের তলব করা হয়। সেখানে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে
প্রস্তাব করা হয়েছিল, স্কুলে একক গাড়ি নিয়ে আসা একদিকে ব্যয়বহুল ও যানজট হয়। অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়।’

পুলিশের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শুধুমাত্র ধানমণ্ডিতে ২১ হাজার প্রাইভেটকার প্রত্যেক দিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আনা নেওয়ায় কাজ করে। এতে প্রচুর যানজট তো হয়ই এবং একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ‘

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাবে প্রথমে দ্বিমত না করলেও পরে কেউ রাজি হননি। আমরা এটাও বলেছিলাম, স্কুল-কলেজের বাসগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই বৈঠকে অনেক অভিভাবক রাজি না হয়ে বরং বলেছিলেন, ‘আমার গাড়ি আছে। আমার সন্তান স্কুলে যাবে আমার গাড়িতে।’ মনে হয়েছিল, এতে তাদের সম্মান যাবে।
বিআরটিসি দ্বিতল বাস দিতে রাজি হয়েছিল। অভিভাবকরা রাজি না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।’

মন্ত্রণালয় শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় শহরের পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী আনা নেওয়ার কাজ করতে। সবার সহযোগিতা পেলে এটা করা সম্ভব হবে।

তিনি এজন্য সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।