বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, আন্দোলনরত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকটি ধরন আছে। একদল খুব শালীন আর স্মার্ট। বিনয়ী ভাষায় বড় বড় আংকেলদের ইজ্জত পাংচার করে দিচ্ছে। ‘আংকেল আপনার লাইসেন্স দেখি!’ বলে লজ্জার সাগরে ফেলে দিচ্ছে। বুড়া বুড়া আংকেলগুলো অসহায় এর মত লজ্জা পাচ্ছেন।
শনিবার একটি অনলাইন পর্টালে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
শেখ আদনান ফাহাদ লিখেছেন, শিক্ষার্থীরা এম্বুলেন্স আসলে ছেড়ে দিচ্ছে, রিকশাগুলোকে পর্যন্ত লাইন ধরে যেতে বাধ্য করছে। মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি কেউ বাদ যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে, ‘বিপ্লব’ হয়েছে দেশে। সাধারণ মানুষ আবেগে ভেসে যাচ্ছে, আমরাও খুব আশাবাদী হয়ে উঠছি। তবে আশাবাদের উল্টো পিঠেই আছে আশঙ্কা। কারণ শিক্ষার্থীদের আরেক দল আছে, পুলিশ পেলেই খুব অশালীন ভাষায় স্লোগান দিচ্ছে আর পুলিশকে আক্রমণ করছে।
আমার সামনেই বৃহস্পতিবার মিরপুর রোডে এক পুলিশ কর্মকর্তার উপর আক্রমণ হল। পুলিশের মোটর সাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়া হল। এই দৃশ্য দেখে কিছু শিক্ষার্থী খুব আফসোস করল, কিন্তু আক্রমণকারীরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় এরা কোনো বাধা দিতে পারেনি। পুলিশের সেই সার্জেন্ট শিক্ষার্থীদের সাথে সামান্য তর্ক করেছিল, তাই তার এই নগদ শাস্তি। একজন ইউনিফর্মধারী নিরাপত্তারক্ষীকে আঘাত করা যায় না। যারা পুলিশকে আক্রমণ করে তারা সন্ত্রাসী। ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ হলে এক বিষয়। আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশ অনেক সময় পাল্টা আঘাত পায়। ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকলে আমরা ক্ষেপে যাই, আবার পুলিশ হওয়ার জন্যই ছাত্র-ছাত্রীরা রাত-দিন পড়াশুনা করে।
এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ