শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > আকর্ষণীয় ঠোঁট পেতে!

আকর্ষণীয় ঠোঁট পেতে!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মুখের মেকআপের েেত্র ঠোঁট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঠোঁটের সাথে মানানসই মেকআপ করলে আপনার মুখশ্রী যেমন হয়ে উঠবে মোহনীয়, তেমনি ঠোঁটের ধরন অনুযায়ী মেকআপ না করলে পুরো সাজটাই ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে নিমিষে। তাই ঠোঁটের ধরন বুঝে মেকআপ রপ্ত করাটা একেবারে ফেলনা কোনও ব্যাপার নয়।
ফুটফুটে-নির্মল হাসির জন্য এক জোড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঠোঁটের জুড়ি নেই। হাসির সৌন্দর্যের অনেকটাই এই ঠোঁটের সৌন্দর্যের উপর নির্ভর করে। তাই মনের মতন সুন্দর হাসি পেতে হলে ঠোঁটের ঠিকঠাক মেক-আপের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখা লিপস্টিকের রঙ প্রয়োগের মাধ্যমে একটু বাড়িয়ে বা কমিয়ে নেয়া যায়, ফলে ঠোঁটের আকার পরিবর্তন হয়ে যায়। এজন্য ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যায় ঠিকই,তবে আজকাল বাজারে লিপ প্রাইমারও কিনতে পাওয়া যায়। এতে করে আলাদা ফাউন্ডেশন লাগানোর ঝক্কি যেমন কমে, তেমনি ঠোঁটে আসে ভিন্ন মাত্রা। ঠোঁটের নানা প্রসাধনীর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থাকা বাঞ্ছনীয়। যেমন- এক্সফোয়েটর,প্রাইমার,বেইজ লিপস্টিক বা লিপ বাম,লিপ প্লাম্পার। এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসব প্রসাধনী পাওয়া যাচ্ছে,বেছে নিন আপনার জন্য উপযুক্তটি। আর যদি এসব যোগাড় করতে অসুবিধা হয়,তাতেও কোন সমস্যা নেই। জেনে নিন সেেেত্র কি করবেন।
ঠোঁটের আকার পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমেই নিজের রঙ বুঝে ফাউন্ডেশন বেছে নেবেন। সেই ফাউন্ডেশন আঙুলে নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এভাবে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিলে ঠোঁটের আউটলাইন বাড়িয়ে বা কমিয়ে লিপস্টিক লাগালে লিপস্টিকের রঙ কেটে যাবে না। ১০ মিনিট পর লিপ ব্রাশে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। সেই ব্রাশের সাহায্যে খুব সরু করে প্রয়োজন মতো সীমারেখা বাড়িয়ে বা কমিয়ে মানানসই আউটলাইন এঁকে নিন। খুব সর্তক হয়ে আউট লাইন আঁকবেন যাতে এ আউট লাইন ঠোঁটের মূল সীমারেখা থেকে খুব বেশি ভেতরে বা বাইরে না যায়।

টের আকার বুঝে কিভাবে আউটলাইট এঁকে লিপস্টিক লাগানো যেতে পারে তা এখানে আলোচনা করা হলো।

পাতলা ঠোঁট-

যাদের ঠোঁট পাতলা তারা ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখার ঠিক বাইরে আউট লাইন এঁকে নিবেন লিপ লাইনার বা লিপ ব্রাশের সাহায্যে। এখন গাঢ় রঙের লিপস্টিক আউট লাইন বরাবর সারা ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখাবে। সবশেষে লিপগ্লস ব্যবহার করে ঠোঁট বাড়তি চকচকে করে নিন ।আপনি চাইলে লিপ প্লাম্পার ব্যবহার করতে পারেন,এতে ঠোঁটে ফোলা বা পুরু ভাব আসবে।

পাতলা ও ছোট ঠোঁট-

ছোট ও পাতলা ঠোঁট ভরাট ও বড় দেখানোর জন্য ঠোঁটের আসল সীমারেখা সামান্য বাড়িয়ে আউটলাইন এঁকে নিন। এবার গাড় বা হালকা রঙের লিপস্টিকে ঠোঁট ভরাট করে নিন। এেেত্র ক্রীম বেসড লিপস্টিক বাছাই করুন।

দুই কোণ চাপা ভরাট ঠোঁট-

যাদের ঠোঁট এ ধরনের তারা আউট লাইন আঁকার সময় ঠোঁটের দুই কোণ বাড়িয়ে মানানসই আউট লাইন আঁকবেন। এ ধরনের ঠোঁটে সব সময় হালকা রঙের লিপস্টিক লাগালে ভাললাগে। যেমন-হালকা গোলাপী,পীচ,হানি,অরেঞ্জিশ কোন শেড বেছে নিতে পারেন।

ফোলা ঠোঁট-

যাদের ঠোঁট একটু ফোলা ধরনের তারা ঠোঁট মানানসই করার জন্য ঠোঁটের প্রকৃত সীমারেখা বরাবর ম্যাচিং শেড ব্যবহার করে আউট লাইন আঁকুন। এবার ওপরের ঠোঁট ও নিচের ঠোঁট ভরাট করুন যথাক্রমে হালকা ও গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিয়ে। ফোলা ঠোঁট হলে লিপগ্লস না লাগানোই ভাল। তবে ফোলা ঠোঁট যদি মুখশ্রীর সাথে মানান সই হয় তা হলে শুধু মাত্র নিচের ঠোঁটে লিপগ্লস লাগাতে পারেন ।

অতিরিক্ত ভরাট ঠোঁট-

ভরাট ঠোঁটের েেত্র প্রকৃত সীমারেখা বরাবর বা সামান্য কমিয়ে আউট লাইন আঁকুন। ঠোঁটের দু’কোণায় আউটলাইন মেলাবেন না। সামান্য ফাঁক রাখবেন। এবার গাঢ় বা মাঝারি রঙের লিপস্টিকে ঠোঁট ভরাট করুন। ভরাট ঠোঁটে কখনো লিপগ্লস ব্যবহার না করাই ভাল।

প্রসারিত ঠোঁট-

প্রসারিত ঠোঁটের জন্য আউটলাইন আঁকুন হালকা রঙের লিপস্টিক লিপ-ব্রাশে নিয়ে বা হালকা রঙের লিপলাইনার ব্যবহার করে। দুই কোণায় সামান্য ফাঁক রাখবেন। যে রঙের লিপস্টিক দিয়েই ঠোঁট ভরাট করুন না কেন, তা ঠোঁটের মাঝের অংশে লাগান গভীর করে। আর দুই পাশে লাগান অপোকৃত হালকা করে।
এই হলো ঠোঁটের েেত্র পছন্দসই আকার- আকৃতি পাবার টিপস। একটি ব্যপার না বললেই না আর সেটি হলো- যে লিপস্টিকই আপনি ব্যবহার করেন না কেন এটি যেন আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল, চকচকে ও চেহারার সাথে মানানসই ভাব এনে দেয় সেদিকে ল্য রাখতে ভুলবেন না।