শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > আগামী বিসিএস পরীক্ষায় ৫০ নম্বর থাকবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক : মন্ত্রী

আগামী বিসিএস পরীক্ষায় ৫০ নম্বর থাকবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক : মন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বেশি, ওদের দাপটও বেশি উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমরা পরাজয় মানতে রাজি নয়। আগামী জানুয়ারি মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর দুই মাসের মধ্যে সংশোধনের সময় দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ছবিসহ মুক্তযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আবার গর্জে উঠতে হবে। বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা হবে। সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে, যেন আগামী ১০০ বছরে ঐতিহ্য বহন করে। রাস্তাঘাট ও সেতু মুক্তিযোদ্ধাদের নামে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলার ১১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্রেক্স ভবন উদ্বোধন ও মুক্তোযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসা অসম্মানজনক। এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি আমি। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হবে।

নওগাঁর ১১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ফলক উন্মোচন করেন মন্ত্রী

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা আরও বৃদ্ধি, বিজয় দিবস ভাতা এবং উৎসব ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে, যা অবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে ধারণা দিতে আগামী বিসিএস পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। এর মধ্যে ৫০ নম্বর নির্ধারিত থাকবে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, সঠিক ইতিহাস এবং সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে যাবে। ইতিহাস মুছে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি লাভবান হবে। তারা জয়ী হবে। দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হবে। তাই সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বড় বড় যুদ্ধের স্থানসমূহ, গণহত্যা এবং বধ্যভূমিগুলোতে একই ডিজাইনে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার, মুক্তিযোদ্ধা হারুন অল-রশিদ ও পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া প্রমুখ।

এর আগে জেলার ১১টি উপজেলায় ২৪ কোটি এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনগুলোর ফলক উন্মোচন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।