বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > আদালতের রায়ে ২০০০০ কোটি রুপির মালিক

আদালতের রায়ে ২০০০০ কোটি রুপির মালিক

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ দুই দশক অপেক্ষা করার পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পত্তির আদেশ মিললো আদলত থেকে। ফরিদকোটের সাবেক মহারাজা হরিন্দর সিং ব্রার-এর দুই কন্যা সন্তানকে ২০,০০০ কোটি রুপি মূল্যমানের সম্পত্তির মালিকানাদেশ দিয়েছেন আদালত। সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নতুন দিল্লির কোপার্নিকাস মার্গের প্রাসাদতুল্য ফরিদকোট হাউজ, ফরিদকোট এলাকায় একটি রাজপ্রাসাদ ও একটি কেল্লা, চণ্ডিগড়ের মানি মাজরা এলাকায় একটি কেল্লা, পুরোনো আমলের দামি গাড়ি যার মধ্যে রয়েছে একটি রোলস রয়েস, ফরিদকোটে ২০০ একর জুড়ে একটি বিমানঘাঁটি। মুম্বইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে রক্ষিত সোনা দানা ও স্বর্ণালঙ্কার প্রায় ১০০০ কোটি রুপি মূল্যমানের। এছাড়াও হায়দরাবাদ ও দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সহায় সম্পত্তি রয়েছে। সব মিলিয়ে সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ২০,০০০ কোটি রুপিরও বেশি। সাবেক মহারাজার কন্যা অম্রিত কর ১৯৯২ সালে আদালতে মামলা করলে পরে সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়। ২১ বছর ধরে মামলা চলার পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজনিশ কুমার বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছেন যে, ১৯৮১ সালে করা মহারাজার উইলটি জাল এবং বানোয়াট ছিল। আদালতের এ রায়ের ফলে, অম্রিত করও তার কোলকাতা নিবাসী বো দিপিন্দার কর মহারাজার সমুদয় সম্পত্তির মালিকানা উপভোগ করতে সক্ষম হবে। তাদের অপর বোন মাহীপিন্দার কর ২০০১ সালে রহস্যজনকভাবে শিমলায় মারা যায়। মহারাজার একটি পুত্র সন্তানও ছিল, হারমোহিন্দার সিং যিনি ১৯৮১ সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এ ঘটনার পর মহারাজা হরিন্দর সিং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অম্রিত কর মামলায় অভিযোগ আনেন যে, তার পিতা বিষাদগ্রস্ত থাকাকালীন কতিপয় কর্মকর্তা ও চাকরবাকর জাল উইল বানিয়ে নেয়। ওই উইল অনুযায়ী সমুদয় সম্পত্তির মালিকানা দিয়ে দেয়া হয় মেহেরওয়াল খেওয়াজি ট্রাস্টকে। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই ট্রাস্টের পরিষদে মহারাজার ভৃত্যদের অনেকেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই ট্রাস্টে দুই বোনকে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদ দিয়ে মাসিক নামেমাত্র ১২০০ ও ১০০০ টাকা ভাতা নির্ধারণ করা হয়। ১৯৮৯ সালে মহারাজার মৃত্যু হলে ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টিরা যাবতীয় সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। অমৃত কর উইলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেন। তিনি দাবি করেন, ট্রাস্টের সদস্যবৃন্দ তার পিতাকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। তিনি দাবি করেন, তার পিতা যখন বিষাদগ্রস্ত ছিলেন তখন ট্রাস্ট সদস্যরা জোর করে তার কাছ থেকে সম্পদ লিখে নেয়। সব শুনে আদালত ওই উইলকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন।