স্পোর্টস ডেস্ক ॥
নানা জল্পনার শেষে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বের ভার পেলেন দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
আন্তর্জাতিক পরিসরে তামিমের অধিনায়কত্বে দলের ভরাডুবি হলেও তার ওপরই আস্থা রেখেছে বিসিবি।
আর সেই আস্থার প্রতিদান দিতে কোনোই কার্পণ্য করবেন না বলে জানিয়েছেন তামিম। তিনি এও জানিয়েছেন, দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে না পারলে নিজেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন!
তবে এ জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীদের থেকে কিছু সময় আশা করছেন তামিম। কারণ দল ও নিজের ব্যাটিং দুটিই সামলাতে হবে তাকে।
সে সুযোগও পাচ্ছেন তামিম ইকবাল। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংকের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
তার সেই নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে বিসিবি। তামিমও নিজের যোগ্যতা প্রমাণে মুখিয়ে আছেন। নতুন দায়িত্বের শুরুতেই ভালো কিছু করে দেখাতে চান।
আর এসব বিষয় নিজেই স্পষ্ট করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে।
১৪ মার্চ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম একাডেমি মাঠে প্রাইম ব্যাংকের অনুশীলনের আগে সেই সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে কতটা ভালো করতে পারব তা মাঠের পারফরম্যান্সে। আমি আপাতত এটিই সবাইকে বলতে পারি– এ ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ধরবেন। নিজের ব্যাটিংয়ে এক সিরিজ, দুই সিরিজ বা পাঁচটা ব্যর্থতা হতেই পারে। যদিও আমি আশাবাদী এমনটি হবে না। তবে হয়ে গেলে আমি নিজেও অধৈর্য হব না, দয়া করে আপনারাও হবেন না। দর্শকদের প্রতি একই অনুরোধ রইল। ’
এর পর তামিম বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তাড়াতাড়ি আত্মস্থ করব। আর ছয় মাস বা এক বছর পেরিয়ে গেলেও যদি অধিনায়ক হিসেবে সফল না হই, তবে আমিই মনে করব– দলের সঙ্গে সুবিচার করছি না। বলতে পারেন আমিই হব প্রথম অধিনায়ক, যে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা বলবে। আমিই সবার আগে হাত তুলে বলব সরি!’
প্রসঙ্গত অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির শূন্যস্থান তামিম রাতারাতি পূরণ করতে পারবেন না সেটি সবাই জানে। আর সে আশাও দেখাননি তামিম। কারণ অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাশরাফির তুলনা মাশরাফি নিজেই। সে চূড়ায় পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে তামিমকে। আর সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই নেতৃত্ব দিতে চান তামিম।
