শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > আলবেনিয়ায় আজীবন সম্মাননায় ভূষিত ইউনূস

আলবেনিয়ায় আজীবন সম্মাননায় ভূষিত ইউনূস

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আলবেনিয়ায় আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আলবেনিয়া ও কসোভোতে দারিদ্র্য নিরসনে তার অসামান্য অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হয়। ওদিকে তার সামাজিক বাণিজ্য বিষয়ক এক কর্মসূচিতে হাইতি সরকার ১০ হাজার হেক্টর সরকারি জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এ জমিতে পুনঃবনায়ন করা হবে। এ বিষয়ে প্রফেসর ড. ইউনূস ও হাইতির কৃষিমন্ত্রীর মধ্যে একটি চুক্তি স্বারিত হয়েছে। ড. ইউনূস এখনও নিউ ইয়র্কে রয়েছেন। সেখানে তিনি কিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-এর বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের প্রেসিডেন্ট বিল কিনটন, হাইতির প্রধানমন্ত্রী লরা লামোথি। হাইতির প্রেসিডেন্সিয়াল এডভাইজরি কাউন্সিলের একজন সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে হাইতির প্রেসিডেন্ট মার্টলিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য। বিশ্বব্যাপী সামাজিক বাণিজ্যের অঙ্গ ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস’-এর মাধ্যমে প্রফেসর ইউনূস এরই মধ্যে হাইতিতে ৮টি সামাজিক বাণিজ্য বিষয়ক প্রকল্প চালু করেছেন। আরও ১০টি প্রকল্প চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো সহসাই চালু করা হবে। প্রফেসর ইউনূস প্রতিষ্ঠা করেছেন হাইতি সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড। এ প্রতিষ্ঠানটি ডয়েস ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বার করেছে। এর মাধ্যমে এ তহবিল ১০ লাখ ডলার ঋণ পাবে ওই ব্যাংকের কাছ থেকে। এ তহবিলে রয়েছে ৫০ লাখ ডলার। এ অর্থ ব্যবহার করে হাইতিতে নতুন সামাজিক বাণিজ্যে বিনিয়োগ করা হবে। হাইতির দু’টি বিশাল সামাজিক বাণিজ্য বিষয়ক প্রকল্প যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে বহুজাতিক বিশাল কোম্পানির সঙ্গে। এর একটি হলো হাইতিতে পুনঃবনায়ন করা। হাইতি সোশ্যাল বিজনেস ফান্ডের সঙ্গে ভার্জিন ইউনাইটেড ও কিনটন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চান রিচার্ড ব্রানসন। আরেকটি বড় যৌথ প্রকল্প হলো ব্রাজিল ফুডস’কে একটি নির্ধারিত চেহারায় ফেরানো। এর মাধ্যমে পোল্ট্রি উৎপাদন বাড়ানো হবে এবং হাইতির গ্রাম এলাকার মানুষের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। হাইতিতে এই সামাজিক বাণিজ্য সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছেন হাইতির প্রেসিডেন্ট মার্টলি ও প্রধানমন্ত্রী লরা লামোথি। ওদিকে আলবেনিয়া ও কসোভোতে দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় প্রফেসর ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রমা। তিনি ড. ইউনূসের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এ জন্য আয়োজন করা হয় আড়ম্বরপূর্ণ এক নৈশভোজের। এর আয়োজক ছিল ন্যাশনাল আলবিনিয়ান আমেরিকানা এসোসিয়েশন। এতে উপস্থিত ছিলেন আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, কসোভোর প্রধানমন্ত্রী, মেসিডোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, আলবেনিয়া ও কসোভোর মন্ত্রিপরিষদ, মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য, যুক্তরাষ্ট্রে আলবেনিয়ান আমেরিকান সমপ্রদায়ের ব্যবসায়ী নেতারা। তিন বছর ধরে আলবেনিয়ায় কাজ করে চলছে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস। আলবেনিয়া সরকারের সরাসরি সমর্থনে চলছে বেশ কিছু সামাজিক বাণিজ্য। যুদ্ধবিরতির পর পরই ১৯৯০-এর দশকে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস চালু করেন গ্রামীণ কসোভো। আলবেনিয়া ও কসোভোতে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন ওই নৈশভোজে ড. ইউনূস তার বক্তব্যে সে কথাই তুলে ধরেন। গতকাল সেন্ট্রাল পার্কের সেন্ট্রাল লনে গ্লোবাল সিটিজেন ফেস্টিভ্যালে ভাষণ দেয়ার কথা তার। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ৫০ হাজার যুবক-যুবতীর। এরপর তার যাওয়ার কথা রয়েছে নিউ হ্যাম্পশায়ারে। সেখানে সোশ্যাল বিজনেস কম্পিটিশনে তার যোগ দেয়ার কথা।