শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > আশুলিয়ায় অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা ছয়শ ছাড়ালো

আশুলিয়ায় অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা ছয়শ ছাড়ালো

শেয়ার করুন

সাভার প্রতিনিধি ॥ আশুলিয়ার দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় ট্যাপের পানি খেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

দুপুর একটা পর্যন্ত এ সংখ্যা ছয়শ ছাড়িয়ে গেছে। তবে, এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে শ্রমিকরা দাবি করেছেন।

রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্রমিকেরা অসুস্থ হতে শুরু করেন।

জানা গেছে, অসুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে দুপুর একটা পর্যন্ত আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুইশ, সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেড়শ, নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইশ ছাড়াও আশুলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল আরো প্রায় শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, একসঙ্গে এত শ্রমিক অসুস্থ হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের কারখানার শ্রমিক, স্থানীয় জনতা ও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

এদিকে, এত শ্রমিক এক সঙ্গে অসুস্থ হওয়ায় তাদের বহনে অ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন সংকট দেখা দেয়। পরে তাদের বহনে র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ব্যবহার করা হয়।

একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ শ্রমিকদের বহনে গাড়ি না পাওয়ায় শ্রমিক ও স্থানীয় উত্তেজিত জনতা কারখানায় ভাঙচুর চালায়। পুলিশ বাধা দিলে এক পর্যায়ে জনতা, শ্রমিক ও পুলিশ ত্রিমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরে পুলিশ শ্রমিক ও উত্তেজিত জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শ্রমিক আসমা বলেন, ‘‘রোববার সকালে এসে পানি খাওয়ার পরপরই পেটে ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। এ ভাবে শত শত শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।”

তিনি আরো বলেন, “কারখানার মধ্যে এখনো অনেক শ্রমিক অসুস্থ রয়েছেন। পরিবহন সংকটের কারণে তাদের আনা যাচ্ছে না।’’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি আতিকুল ইসলামের মালিকাধীন দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানায় খাবার খেয়ে একইভাবে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আজকে (রোববার) যে পানি খেয়ে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়েছেন, তা পরীক্ষার জন্য আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “শুক্রবার রাতে যে খাবার খেয়ে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়েছেন, তাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”

তিনি জানান, শুক্র ও শনিবার ল্যাবরেটরি বন্ধ থাকায় ফলাফল জানা যায়নি। রোববার জানা যাবে, খাদ্যে কোনো বিষক্রিয়া ঘটেছে কিনা।

তিনি আরো বলেন, “আজকে (রোববার) যেসব শ্রমিক অসুস্থ হয়েছেন, তাদের সবার চিকিৎসার দায়িত্ব আমাদের।”

রোববারের ঘটনার জন্য আতিকুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সব শ্রমিককে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান।