বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ইসিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রচারণায় অংশ না নিতে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রী পদমর্যাদার বিশেষ এ দূতকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলেও তিনি তা রক্ষা করেননি।
দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে মঙ্গলবারও প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত জাপা চেয়ারম্যান নির্বাচনী মাঠে থাকবেন বলে দল সূত্রে জানা গেছে।
রবিবার রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মিহির সারওয়ার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এরশাদকে প্রচারণা না চালানোর অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তর জুরাইন মুন্সীবাড়ী শাহাদাত হোসেন রোডে জাতীয় পার্টি শ্যামপুর-কমদতলী থানা আয়োজিত কর্মী সভায় নিজেকে আচরণবিধির ঊর্ধ্বে ঘোষণা করেছিলেন এরশাদ। এরপরই নির্বাচন কমিশন এরশাদকে চিঠি দেয়।
কিন্তু চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিলেন এরশাদ।
রাজধানীর মৌচাক এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রচারণা শুরু করেন এরশাদ।
এ সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরের জাপা সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী বাহাউদ্দিন আহমদ বাবুল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী হাজী সাইফুদ্দিন আহমদ মিলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন ও ভোট চান।
প্রচারণায় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ অন্যরা।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, সকাল ও বিকেলে দু’দফা করে শুক্রবার পর্যন্ত টানা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিবেন এরশাদ। এরমধ্যে বুধবার বিকেলে কলাবাগান, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ এলাকায় প্রচারণা চালাবেন এরশাদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী ও শুক্রবার বিকেলে ওয়ারী, শাজাহানপুর, মতিঝিল এবং সবুজবাগ এলাকায় প্রচারণা চালাবেন এরশাদ। প্রতিদিনই সকালে উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় প্রচারণা চালাবেন এরশাদ।
নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধির ১৪ নং অনুচ্ছেদে সরকারি সুবিধাভোগী কতিপয় ব্যক্তির নির্বাচনী প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বাধা নিষেধ সংক্রান্ত বিধির ক ধারায় বলা হয়েছে, ‘জাতীয় সংসদের স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, চীপ হুইপ, হুইপ এবং সরকারের কোন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা তাঁহাদের সমমর্যাদার সরকারি সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি, নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’ কিন্তু এরশাদ এ নিষেধাজ্ঞা মানছেন না।
এরশাদের প্রচারণায় বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘বলেন কী! আচ্ছা, এখনই খোঁজ নিচ্ছি।’ বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক