বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > ইসির আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে বৈঠক বর্জন ঐক্যফ্রন্টের

ইসির আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে বৈঠক বর্জন ঐক্যফ্রন্টের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বৈঠক বর্জন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠক বর্জন করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বৈঠক শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার পর ২টার দিকে তারা বৈঠক বর্জন করেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনের আগে বৈঠক থেকে ক্ষুদ্ধ ড. কামাল হোসেনও বেরিয়ে চলে যান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এবং নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ইসি সরকারের পক্ষ হয়ে গেছে। সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি কোনো ভদ্রতা সূচিত আচরণ করেননি। আমরা পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা জানালে তিনি কোনো সহানুভূতি না জানিয়েছে হঠাৎ করেই পুলিশের পক্ষেই অবস্থান নেন। তাই আমরা বৈঠক থেকে চলে এসেছি।

সংবাদ সম্মেলনের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রকিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বৈঠকের বর্ণনা দিয়ে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যে সিইসি উদ্দেশ্যে বলেন, সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়ান পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা দুইটার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার জোটেরা নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

ড. কামল হোসেন আরও বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো সেভ করতে হবে।

এ সময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলেন -আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলেছেন। নিজেকে কী মনে করেন? তখন মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেব।

দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।