বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > ইসির সংলাপ > নারী নেত্রীদের নিয়ে যা বললেন সিইসি

ইসির সংলাপ > নারী নেত্রীদের নিয়ে যা বললেন সিইসি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, দেশের নারী সমাজের প্রতিনিধিদের ‘গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ’ নিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা করতে চাই। কেননা, বাংলাদেশের নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন, দৃষ্টি আকর্ষণে পর‌্যবসিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে সভাপতি হিসেবে সিইসি এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া সংলাপের শুরুতেই সিইসি নারীদের দেশের উন্নয়নে অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীদের অবস্থান উজ্জ্বল তা আমরা সকলেই জানি। এ অঞ্চলে বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার নারীদের সামাজিক দ্বার উন্মোচন করে রেখেছে।। সেই পথ ধরে জীবেন প্রতিটি অঙ্গনে দেশের নারীদের পদচারণার অবাধ অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের নারীরর অধীকার ক্ষমতায়ন, দৃষ্টি আকর্ষণ পর‌্যবসিত হয়েছে।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, সরকার পরিচালনায় নীতি নির্ধারণী, রাজনীতিতে দপ্তর ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা বিচারকার্য, আইন শৃঙ্খলা বাজিহনীতে সামারিক বাহিনীতে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষণে, কূটনীতি, শ্রমবাজারে এমনকি ইসিতেও নারীদের অবস্থান সুসংগঠিত রয়েছে। দেশ গঠনে দেশ পরিচালনায় নারীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। নারী পুরুষ সকলের অংশগ্রহেণে দেশ মধ্যম আয়ের উন্নত হবার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছে। উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে গেছে।

সংলাপে আগতদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, আপানদের পরামর্শে ও গুরুত্বপূর্ণ মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা করতে চাই। ২২ নারী নেত্রী সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও ১৩ জন উপস্থিত হয়েছেন। এরা হলেন-রোকেয়া কবির, মালেকা ভানু ও রেখা চৌধুরী, অ্যারোমা দত্ত, ফাতেমা আক্তার ও নাসরিন বেগম, ফরিদা ইয়াসমিন, রীনা সেন গুপ্ত, পারভীন সুলতানা ঝুমা, মাহবুবা বেগম, রেহানা সিদ্দিকী, মাসহুদা খাতুন শেফালী এবং মনসুরা আক্তার।

৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। রোববার (২২ অক্টোবর) নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও সংলাপ করেছে সংস্থাটি।

সংলাপে আসা সুপারশিগুলোর মধ্যে ভোটার তালিকা নিরীক্ষা, ভোটার দিবস উদযাপন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুপারিশ, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ও পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন না দেওয়া বা বাতিল করা, সারাদেশে সেনা মোতায়নে, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বিচারিক ক্ষমতাসহ সশ্রস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন না করা, না-ভোটের প্রর্বতন, প্রবাসে ভোটারধিকা প্রয়োগ, জাতীয় পরষিদ গঠন, র্বতমান সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন, দশম সংসদে প্রতনিধিত্বিকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ইলকেট্রনকি ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটগ্রহণ, ইভএিম বা ডজিটিাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহার না করা, অষ্টম সংসদ নির্বাচনের সীমানায় একাদশ সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসনের সীমানা একাদশ সংসদ নির্বাচনের র্পূবে পর্নুনর্ধিারণ না করা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য ২৪ অক্টোবর সংলাপ শেষ হবে। সংলাপে নির্বাচন সিইসি সহ ৫ কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।