স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া যুদ্ধাপরাধের রায় ঈদের পর কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ৩৬তম তাহের দিবস, হেফাজতের আমির আহমদ শফীকে আটক এবং যুদ্ধাপরাধীদের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “ঠাণ্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমান এদেশে পাকিস্তানি দালাল রাজাকারদের প্রশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি রাজাকারদের পিতা। আর খালেদা জিয়া রাজাকারদের লালন পালন করে পরিচয় দিয়েছেন তিনি রাজাকারদের মাতা।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে জামায়াত ইসলামী সাংগঠনিকভাবেই পাকিস্তানের দালাল। রাজাকার সংগঠনের সব নেতাকর্মীই রাজাকার।”
ইনু বলেন, “জামায়াতের সাবেক রোকন বাচ্চু রাজাকার, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদরা ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধী। এজন্য আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। ঈদের পরই আমরা রায় কার্যকর করবো।”
মন্ত্রী বলেন, “এসব দালাল পাকিস্তান সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশে আলবদর-আল শামস-রাজাকার বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাণ্ডব চালিয়েছে।”
মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ে এটাই প্রমাণ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত ইসলামী ও বর্তমান জামায়াত একটি স্বতন্ত্র জঙ্গিবাদী সংগঠন। তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে সরকারের কাছে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ইনু বলেন, “রায়ের পর আপনার নীরবতা প্রমাণ করে আপনি তাদের লালন করছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন। যেমন দিয়েছিল আপনার স্বামী। যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না।”
আপিল শুনানি শেষে যদি মানবতাবিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে, তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর রায় কার্যকর করা হবে বলে জানান ইনু।
জিয়াউর রহমান অবৈধ বিচারের মাধ্যমে যে পাঁচ হাজার সৈনিককে হত্যা করেছেন, তার জন্য একটি ট্রুথ কমিশন গঠন করে বিচারের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
হুমায়ুন কবির মিঝির সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর জাসদ সভাপতি মীর হোসেন আক্তার, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, কৃষকলীগ নেতা আবদুল হাই তনু প্রমুখ।