বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ঋতুপর্ণার সন্ধ্যা নামার আগে

ঋতুপর্ণার সন্ধ্যা নামার আগে

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥ বসন্ত উৎসব শেষ হয়ে গিয়েছে কবেই! এই ভরা শ্রাবণে ঋতুপর্ণার জীবনে পলাশ এল কোথা হতে? ‘বসন্ত উৎসব’ ছবির পরিচালক ঋতব্রত ভট্টাচার্যই দ্বিতীয় ছবিতে পলাশের গান এনে দিলেন ঋতুপর্ণার প্রাণে। তাও ‘সন্ধ্যা নামার আগে’।
হেঁয়ালির জট ছাড়িয়ে স্পষ্টাস্পষ্টি বললে, গায়ক-নায়ক-ডাক্তার পলাশ সেন টলিউডে কেরিয়ার শুরুতেই জুটি বেঁধে ফেলেছেন ঋতুপর্ণার সঙ্গে। ‘সন্ধ্যা নামার আগে’ নামের একটি থ্রিলার ছবিতে পলাশ ঋতুপর্ণার সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রথম বাংলা ছবি নিয়ে স্বভাবতই উত্তেজিত তিনি। বহু দিন প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও বাংলা ছবির সঙ্গে তাঁর বিলক্ষণ পরিচয় আছে। এমনকি, বাংলা বলতেও মোটেই প্রবাসী টান আসে না তাঁর উচ্চারণে। তাই গানের পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও দর্শকদের মন মাতাতে নাকি পুরোপুরি তৈরি পলাশ।
বাংলা ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পলাশ। জানাচ্ছেন, ‘আমি খুবই এক্সাইটেড। নিজের ভাষার ছবিতে কাজ করব। এখনও ফাইনাল সই করা হয়নি। তবে নির্দেশকের সঙ্গে কথাবার্তা মোটামুটি শেষ। সম্ভবত আমার চরিত্রের বিপরীতে ঋতুপর্না সেনগুপ্ত অভিনয় করবেন। ঋতুকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। দারুণ অভিনেত্রী। ওর সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমি নিজে অনেক কিছু শিখব। এখন বাকিটা ডিরেক্টরের হাতে’ জানাচ্ছেন পলাশ সেন।
এই ছবির মূল গল্পে রয়েছে উত্তরবঙ্গের পটভূমিকা। কিন্তু ছবিতে সেই প্রেক্ষাপট পালটে যাচ্ছে। ছবিতে পটভুমিতে থাকবে হাজারিবাগের জঙ্গল। ছবির পরিচালক ঋতব্রত ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই হাজারিবাগের জঙ্গলে প্রাথমিক ভাবে শ্যুটিং-এর জায়গা দেখে এসেছেন।
জানাচ্ছেন, ‘ম্যাকল্যাকসিগঞ্জের একটা ব্রিটিশ বাংলোর লোকেশন বেশ মনে ধরেছে আমার। আসলে এই অঞ্চলের পাহাড়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা সমস্যা চলছে। তাই অনেক দিন ধরে হাজারিবাগে কাজ হয় না। আমি ঠিক করেছি এখানেই শ্যুট করব। এত ভাল লোকেশন যে লোভ সামলানো যায় না। ছবিটা হিন্দি-বাংলা দুটো ভাষাতেই হবে। আর একটা সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটের ছবি হবে’।
ছবির গল্পটা এক মডেলকে নিয়ে। হাজারিবাগের জঙ্গলে ছুটি কাটাতে আসা মডেলের মৃত্যুর পর সেই খুনের অপরাধে তার স্বামীর ফাঁসি হয়। ১৬ বছর পর সেই বাংলোয় মডেলের মেয়ে তার প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে এসে অন্য এক সত্যি ঘটনা জানতে পারে। কী সেই সত্যি? এই নিয়েই তৈরি হচ্ছে ‘সন্ধ্যা নামার আগে’। পলাশের ক্ষেত্রে তা তাঁর গানের মতো ‘গুরু ফাটাফাটি’ হয় কি না, এখন সেটাই দেখার!