বিনোদন ডেস্ক ॥
২০১৩ সালে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন নিসপাল সিং ও কোয়েল মল্লিক। চলতি বছরের মে মাসে পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন টালিগঞ্জের এই অভিনেত্রী। এটিই তাদের প্রথম সন্তান।
কয়েক মাস আগে পরিবারসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং মা হওয়া-দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। তাই বলা যায়, করোনার সময় যেমন তার দুশ্চিন্তায় কেটেছে, আবার এই সময়ে পেয়েছেন মাতৃত্বের স্বাদ। এই দুই ধরনের ভালো ও মন্দ লাগা নিয়ে ভারতীয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছেন কোয়েল মল্লিক।
সেখানে ‘এক দিকে মা হওয়ার আনন্দ, অন্য দিকে গোটা পরিবার করোনায় আক্রান্ত হওয়া… ভালো-খারাপের দোলাচলের মধ্য দিয়ে কেমন কেটেছে সময়টা?’-এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জীবনের সেরা সময়, তাই তাকে খারাপ বলতে পারব না। মা হওয়ার মুগ্ধতাটা অনেক বেশি ছিল।’
তবে কিছুটা সময় খুবই চিন্তায় কেটেছে বলে স্বীকার করেছেন কোয়েল মল্লিক। তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবতেও পারিনি যে, এ রকম কিছু হতে পারে। তবুও এ সবের মধ্যে আমার সন্তান বাড়ির পরিবেশ বদলে দিয়েছিল। বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলাম আমরা। রানের (নিসপাল সিংহ) সঙ্গে আমার এক ঘরে থাকাও বারণ ছিল। ওর যখন ছেলেকে দেখতে ইচ্ছে করত, তখন আমি বারান্দার একদিকে ছেলেকে কোলে নিয়ে দাঁড়াতাম, ও অন্য প্রান্ত থেকে দেখত। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, সেটাই আমাকে বিপদে শক্তি দেয়।’
টালিগঞ্জের এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আগে যে রকম নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়তাম, সেই জীবনটা আর নেই। তবে তার জন্য দুঃখ নেই। জীবনের এই নতুন অধ্যায় বেশ উপভোগ করছি।
তিনি বলেন, ‘বাড়িতে যখন ছেলের সঙ্গে থাকি, তখন মনে হয় এই দিনের জন্যই তো আমি অপেক্ষা করেছিলাম। আবার সেটে গিয়ে মনে হয়েছে, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে কী ভালো লাগছে!’
২০১৩ সালে বিয়ের পর অভিনয়ে সাময়িক বিরতি নিলেও আবার অভিনয় শুরু করেন কোয়েল মল্লিক। ‘মিতিনমাসি’ চলচ্চিত্র মুক্তির পর জানা যায় তিনি মা হতে চলেছেন। ২৮ এপ্রিল ছিল তার জন্মদিন; তার কয়েকদিন পরেই কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান।
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নাটের গুরু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ভাবনীপুরের মল্লিক পরিবারের মেয়ে কোয়েলের। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘হেমলক সোসাইটি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদেরও প্রশংসা পান। ১০ এপ্রিল তার চলচ্চিত্র ‘রক্ত রহস্য’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু লকডাউনের কাছে তা পিছিয়ে গেছে। আসছে দুর্গাপূজায় রিলিজ হওয়ার কথা রয়েছে ‘রক্ত রহস্য’র।