বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
এক কেজি দইয়ে ২১৯ গ্রাম কম দিচ্ছে মি. বেকার। এছাড়া ভোক্তা আইন অমান্য করে অভিনব কায়দায় ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব অভিযোগে মি. বেকারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি ও পণ্যের মোড়কে খুচরা বিক্রয় মূল্য লেখা না থাকায় আরও চার প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফর্মোচা রেস্তোরাঁ, আগোরা সুপার শপ, ফুড কর্নার এবং শ্বশুরবাড়ি ক্যাফে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ও সীমান্ত স্কয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
অভিযান সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস। এসময় সার্বিক সহযোগিতা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১ এর সদস্যরা।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, মি. বেকার এক কেজি দই বলে বিক্রি করলেও ওজনে দিচ্ছে ৭৮১ গ্রাম। অর্থাৎ কেজিতে ২১৯ গ্রাম কম। এছাড়া তাদের বিক্রি করা দইয়ের হাড়ির গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পণ্যের মোড়কে খুচরা বিক্রয় মূল্য ও উৎপাদন তারিখ লেখা না থাকায় সীমান্ত স্কয়ারে আগোরা সুপার শপকে ৩০ হাজার টাকা করা হয়। এছাড়া নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করায় ফর্মোচা রেস্তোরাঁ, ফুড কর্নার এবং শ্বশুরবাড়ি ক্যাফেকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম