শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > এখনই কোন অবসর নয়: গেইল

এখনই কোন অবসর নয়: গেইল

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ঢাকা: বয়স ৩৫ পেরিয়েছে আরও ৬ মাস আগে। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, মিসবাহ-উল হক কিংবা শহিদ আফ্রিদিদের মত অনেকেই ধারনা করেছিলেন বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের কোন ফরম্যাটকে অন্তত বিদায় বলে দেবেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং তারকা ক্রিস গেইল। কিন্তু ওয়েলিংটনে কিউইদের কাছে ১৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গেইল জানিয়ে দিলেন, না ক্রিকেটের কোন ফরম্যাটে থেকেই অবসর নিচ্ছি না।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি পিঠের ব্যাথার কারণে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন পিঠে ইনজেকশন দিয়ে। ৩৯৩ রানের বিশাল রান তাড়া করতে গিয়ে শেষ চেষ্টাও করেছিলেন। ৩৩ বলে ৬১ রানের একটা ঝড়ো ইনিংস খেলে গেইল বোঝালেন তিনি কেন বিধ্বংসী। তবে গেইলের আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব আশা শেষ হয়ে যায়।

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন ক্রিস গেইল। পিঠের ইনজুরি আর অবসর নিয়ে গেইল বলেন, ‘কোনও ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিচ্ছি না। পরের বছর টি২০ বিশ্বকাপে অবশ্যই খেলতে চাই। হ্যাঁ, চোট নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো আগে ঠিক করতে হবে। নিজেকে কিছুটা সময় দিতে হবে। তারপর দেখব কী অবস্থায় আছি। ম্যাচে তো পুরো ৫০ ওভার ফিল্ডিং করলাম। এরপর আবার ওপেন করলাম। খুব একটা সমস্যা হয়নি। বরং উপকারই হয়েছে। কুঁচকিতে একটু ব্যথা করছে। সময় দিতে হবে। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজটা খেলছি না। এখন যা অবস্থা, মনে হয় না টানা পাঁচ দিন খেলতে পারব।’

বিশ্বকাপে দলের পারফরমেন্স নিয়ে গেইল বলেন, ‘আমার তো মনে হয় বেশ ভাল খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যাভো আর পোলার্ডকে অবশ্যই মিস করেছি। তবু বলব, ভাল খেলেছি। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। তারপর যে কোনও কিছু হতে পারত। দুটো ভাল ম্যাচ তো দরকার ছিল।’

কোয়ার্টার ফাইনালের পারফরম্যান্স নিয়ে গেইল বলেন, ‘৩৯০ রান তাড়া করতে নামা মানে মানসিক একটা চাপ ব্যাটসম্যানদের ওপর থাকবেই। কিন্তু আর একটু প্ল্যান করে এগোলে আরও কাছাকাছি তো পৌঁছতেই পারতাম। ১৯ ওভার বাকি থাকতে আমরা ২৫০ রানে থামলাম। সেটাই বলে দিচ্ছে, দরকার পড়লে আমরা কতটা বিপজ্জনক হতে পারি। শুধু ঠিকঠাক মানসিকতা দরকার। পারবই, এই বিশ্বাসটা প্লেয়ারদের মধ্যে থাকার দরকার ছিল।’

২০৯১৭৭অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার সম্পর্কে গেইলের বক্তব্য, ‘উন্নতির রাস্তা সবসময় আছে। ইয়াং কাউকে ক্যাপ্টেন করলেই সেটা ভুল নয়। তবে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অনভিজ্ঞতা একটা ছাপ ফেলে। জ্যাসন (হোল্ডার) এই জায়গা থেকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে কিনা, সেটাই আসল। সেটা হলে বুঝতে হবে, অভিজ্ঞতা থেকে দল শিখেছে। প্রথমবার ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতে এসেই দেশের নেতৃত্ব দেওয়া, ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়। ওর জন্য শুভেচ্ছা থাকল।’

নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফিল সিমন্সকে। তার ব্যাপারে গেইলের মন্তব্য, ‘ব্যাক্তিগতভাবে ফিলকে (সিমন্স) চিনি। মানুষ হিসেবে খুব ভাল। আয়ারল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে খুব ভাল কাজ করেছে। ও আমাদের নিজেদের লোক। আমাদের বিশ্বাস আছে, ওর কোচিংয়ে আমরা উন্নতি করব। ওর জন্য শুভেচ্ছা।’

২১৫ করে বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়েছিলেন গেইল। কয়েকদিনের ব্যবধানে ভেঙে গেলো সেটা। গেইল বলেন, ‘ফ্যান্টাসটিক। গাপটিল খুব ভাল ব্যাট করেছে। ও কী করতে পারে, আমরা জানতাম। উইকেটও খুব ভাল ছিল। মাঠটাও ছোট। তবে এসব বলে ওর কৃতিত্বকে একেবারেই ছোট করছি না। আসল কথা হল, ও সুপারব ব্যাট করেছে। ওকে বুকভরা অভিনন্দন।’