শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > এমন আম্পায়ারিং মানি না মানব না, প্রয়োজনে বিশ্বকাপ ছেড়ে বাড়ি ফিরব

এমন আম্পায়ারিং মানি না মানব না, প্রয়োজনে বিশ্বকাপ ছেড়ে বাড়ি ফিরব

শেয়ার করুন

এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া-উইন্ডিজ ম্যাচে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।ম্যাচে পাঁচবার ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহারে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়।উইন্ডিজের হয়ে টেস্ট

ও ওয়ানডেতে ১৬২ ম্যাচে ৩৯১টি উইকেটে শিকার করা মাইকেল হোল্ডিং বলেন, আমি এটা বলার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি যে আজকের ম্যাচে অত্যন্ত বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে।আশির দশকে ২২ গজে গতির ঝড় তোলা হোল্ডিং আরও বলেন, যদি এ আম্পায়াররা ফিফার

অফিসিয়াল হতেন, তখনই তারা বাড়ির পথ ধরতেন। তাদের এরপর আর সুযোগই দেয়া হত না। একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের মানটা আরও উন্নত চাই।খেদ প্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, তারা খারাপ কিছু করলেও তা সয়ে যাওয়াই কি নীতির মধ্যে পড়ে?সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে বাজে আম্পায়ারিং গ্রহণযোগ্য নয়! অথচ সেই কাজটিই করেছেন শ্রীলংকান আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে ও নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার ক্রিস গেফেনি। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে তাদের আম্পায়ারিং নিয়ে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।বৃহস্পিতবার ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ম্যাচে আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে ও ক্রিস গেফেনি

বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন। যদিও রিভিউ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চারবার বেঁচে যায়।বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দুটিই ছিল গেইলের বিপক্ষে। দুবার গেইলকে ভুল আউট দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান গেইল। তৃতীয়বার সিদ্ধান্ত সঠিক হলেও ভুলটি ছিল অন্য জায়গায়। মিসেল স্টার্কের যে বলে গেইলকে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত দিয়ে মাঠ থেকে বের করা হয়, সেটি আসলে নো বল ছিল।ইনিংসের ৫ম ওভারের ৫ম বলে মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হন গেইল। তবে এর আগের ডেলিভারিতেই স্টার্ক বোলিং সীমার বাইরে পা রেখে বল করেছিলেন। সেটি ছিল নো বল। নিয়ম অনুযায়ী, নো বলের পরের বলে ফ্রি হিট পাওয়ার কথা ক্যারিবীয়দের।কিন্তু আম্পায়ার গেফেনি গেইলকে আউটের সংকেত দেন। কারণ স্টার্কের করা নো বলটি আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে যায়। শুধু গেইলই নয় জেসন হোল্ডারও দুবার ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হন আম্পায়ারের। দুই যাত্রাতেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।বিশ্বকাপের তো বড় মঞ্চে এই বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় বাইছে। উইন্ডিজের সাবেক তারকা ক্রিকেটার বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেয়া মাইকেল হোল্ডিং আম্পায়ারকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।শ্রীলংকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার বর্তমানে ধারাভাষ্য পেশায় জড়িয়ে যাওয়া রাসেল আর্নল্ড টুইটারে বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। তার পরও তারা যদি শেষ ১০ ওভার ভালো খেলত তাহলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি অবশ্যই জিততে পারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার কায়রন পোলার্ড টুইটারে লেখেন, বারবার আমরা ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছি। এই ভুল নিয়ে সমর্থকরাও কোনো প্রতিবাদ করেনি। একটা ম্যাচে যদি এভাবে একাধিক ভুল হয় তাহলে কী করে ম্যাচ জেতা যায়?প্রসঙ্গত, ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯ ওভারে ২৮৮ রানে অলআউট বিশ্বকাপের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভুল আম্পায়ারিং এবং মিসেল স্টার্কের গতির মুখে পড়ে ৫০ ওভারে ২৭৩ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪ রানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।