বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > এমপিওভুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনে অনশনে শিক্ষকরা

এমপিওভুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনে অনশনে শিক্ষকরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন পালন করছেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে তারা এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে তারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।

ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহামুন্নবী ডলার বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, সারাদেশে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে। সেই নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। তার আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট না। তিনি আমাদের আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়ায় এ আশ্বাসে আমরা ফিরে যাচ্ছি না।’

গত রোববার রাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষকরা। বৈঠক শেষে তারা নতুন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও দেয়া হবে। বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হবে। পরবর্তী নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিবছর এমপিও দেয়া হবে। এমপিওপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মান নিয়মিত মনিটর করা হবে এবং যারা নীতিমালা অনুযায়ী ফলাফল করবে না তাদের এমপিও বাতিল করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী এ বছরের এমপিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নাই। এর ব্যতয় হলে আদালতে মামলা হবে। ফলে যোগ্য বিবেচিত হওয়া সকল এমপিও বন্ধ হয়ে যাবে।’ তাই আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এমপিওভুক্তির দাবিতে ১৪ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ফোন করে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানান। এর পরিপ্রক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠক হয়। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়া আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।