শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পরিচলনা করবো

ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পরিচলনা করবো

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মতায় গেলে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার গঠন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেছেন, ‘মতায় গেলে বিচ্ছিন্ন নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পরিচলনা করবো।’

সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া বলেন, ‘গণতন্ত্র রা ও জনগণের দাবি পূরণ করে আসুন জনকল্যাণের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’

খালেদা বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, এক চুলও নড়বেন না। তাই আমি বলবো, আমরা মতায় গেলে নতুন ধারার রাজনীতি করবো, নতুনধারার সরকার গঠন করবো, ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি করবো। তাই আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে জনকল্যাণে কাজ করি।’

তিনি বলেন, ‘রাতে যখন অন্ধকারে হেঁটে যায়, তখন ভয়ে মানুষ চিৎকার করে গান গায়। তেমনই প্রধানমন্ত্রী জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভয়ে চিৎকার করছেন।’

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘শুধু বিরোধী দল নয় মহাজোটের অনেক দলই বলছে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাহলে তারা কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে। তারা কি এক দলীয় নির্বাচন করবে।’

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, একদলীয় কোন নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে না। করতে দেয়া হবে না।

খালেদা বলেন, ‘আমাদের দাবি বেশি নয় তত্ত্বাবধায়কের ছোট দাবি। তা  নির্দলীয় নিরপে সরকার বা যে নামেই হোক না কেন আমাদের কোন আপত্তি নেই। আমরা সকলে মিলেই নির্বাচন করবো কাউকে কিছু বলবো না।’

দীর্ঘ দিন পর নির্বাচনী ইশতেহারের মতো বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় খালেদা জিয়া মতায় গেলে কী কী করবেন তার একটা ফিরিস্তি তুলে ধরেন। অতীতে বিএনপির আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মতায় গেলে আবারো দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করবো। যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবো। একটা নয় দুইটা পদ্মাসেতু তৈরি করবো।’

আলাদা খাত উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘রেলওয়ে, সড়ক যোগাযোগ, ডিপ-সী পোর্ট, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শিা, কৃষি, আইটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। প্রশাসন, পুলিশ, পিএসসি, মানবাধিকার কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করে জনসেবায় ব্যবহার করা হবে। বর্তমান সরকারের মতো প্রশাসনকে দলীয়করণ না করে মেধার ভিত্তিতে সাজানো হবে। মেধাবী ছাত্রদের ভালো জায়গায় চাকরির সুযোগ করে দেয়া হবে। কোটা পুরোপুরি বন্ধ করা হবে না, তবে কোটা কমিয়ে মেধাবীদের সুযোগ দেয়া হবে।’

দেশ এখনো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে কৃষি নীতি করা হবে। কোনো কৃষি জমিতে স্থাপনা করতে দেয়া হবে না। আগে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে হবে।’

রেলে যাতায়াত খরচ কমানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-উত্তর বঙ্গ দ্রুতগামী রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।’