শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > ঐক্য ফ্রন্টের সাত দফা নির্বাচন বানচালের মতলবে সাতটি চক্রান্ত: ওবায়দুল কাদের

ঐক্য ফ্রন্টের সাত দফা নির্বাচন বানচালের মতলবে সাতটি চক্রান্ত: ওবায়দুল কাদের

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ১/১১-এর কুশীলরা বাংলাদেশের পরিচিত-পরীক্ষিত চক্রান্তকারীরা আজকে হাত মিলিয়েছে ২১ আগস্টের খুনীদের সঙ্গে, ১৫ আগস্টের খুনীদের সঙ্গে, এরা হাত মিলিয়েছে আন্তজার্তিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। এদের সাত দফা হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের মতলবে সাতটি চক্রান্ত। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই ঐক্য বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে? এদের নেতা কে? তিনি বলেন, এদের নেতা মঞ্চে আছে কামাল হোসেন, আর পেছনে আছে আসল নেতা, নেপথ্যের নেতা, তারেক রহমান। ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত, মানি লন্ডারিংয়ে দন্ডপ্রাপ্ত, দুর্নীতিবাজ, পলাতক নেতা তারেক রহমান।
ওবায়দুল কাদের বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষে গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় ওই পথসভায় বক্তব্য রাখেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা: দীপু মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আসাদুর রহমান কিরণ, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, ওসমান আলী, মতিউর রহমান মতি, অধ্যাপক আশরাফুল আলম আসকর প্রমুখ।
পথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, মইনুলকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়নি, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে অপরাধী হিসেবে। তার মুক্তির জন্য বিএনপি দাবি করে। যে মইনুল হোসেন মাইনাস-টু ফরমুলার সঙ্গে ছিলো। বেগম জিয়াও তার মাইনাস-টু’র টার্গেট ছিল। সেই মইনুল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি আতাঁত করেছে নির্বাচনে জয়ের জন্য নয়, ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য। তাদের টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। এটাই হচ্ছে আজকে বিএনপির টার্গেট।
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমার অবাক লাগে- বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণেতা বলে যিনি দাবি করেন, যিনি গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করেন, যিনি নীতি-নৈতিকতার কথা বলেন, যিনি নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেনÑ সেই কামাল হোসেন আজকে নষ্ট রাজনীতি বাংলাদেশে যারা করে, নষ্ট রাজনীতির যারা প্রবর্তক, নষ্ট রাজনীতির যারা প্রচারক, নষ্ট রাজনীতিতে যারা বিশ্বাস করেÑ সেই বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ড. কামাল হোসেনও প্রমাণ করেছেন তিনিও নষ্ট রাজনীতিক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার সুষ্পষ্ট নির্দেশনা সারা দেশের জন্য আমি দিয়ে যাচ্ছি। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। যদি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হন সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। বিদ্রোহ মানেই বহিস্কার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, নেতায় নেতায় যত ঐক্যই হউক আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে ইনশাল্লাহ পরাজিত করার মতো কোন শক্তি বাংলাদেশে নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, গাজীপুরে সিটি নির্বাচনে যেভাবে বিজয় হয়েছে আগামি নির্বাচনেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয়ী হবো। ঐক্যফন্টের প্রচারণা প্রসঙ্গে নেতাদের উদ্দ্যেশে বলেন, ওই সব প্রচারণা আমরা দলের পক্ষ থেকে দুই মাস আগেই সেরে ফেলেছি। আমরা প্রচারণা ও মাজার জিয়ারতে এগিয়ে আছি। আমরা প্রতিদিনই প্রচারণায় ৬ ঘন্টা এগিয়ে। যারা মানুষের কাজে এগিয়ে থাকে তারা আগামি নির্বাচনেও এগিয়ে থাকবে।
প্রচারণা সভা শেষে সেতু মন্ত্রী টঙ্গী কলেজ গেইট থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।