শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > ওমানে উভয় সঙ্কটে অবৈধ অভিবাসীরা

ওমানে উভয় সঙ্কটে অবৈধ অভিবাসীরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥ অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করতে ব্যাপক প্রচারণা চলছে ওমানে। এ অবস্থায় সেখানে যারা অবৈধ অভিবাসী আছেন তারা নিজ নিজ দেশে ফেরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেক েেত্রই তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। এ বিষয়ে গতকাল অনলাইন গালফ নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর শিরোনাম ‘ইলিগেল ওয়ার্কার্স এক্সিট ডিলেমা ইন ওমান’। অর্থাৎ ওমানে অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করা এখন উভয় সঙ্কট। এতে আরও বলা হয়, রুয়ি এলাকায় কোক টাওয়ারের কাছে জমায়েত হয়েছিলেন ৫০ জন অভিবাসী শ্রমিক। তারা এক সমাজকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওমানে অভিবাসীদের বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে থাকে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের রিতা রুচিকা স্যামুয়েল বলেছেন, এসব শ্রমিকের বেশির ভাগই ভারতের দণিাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশের। গত দু’তিন বছর তারা দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে অনেক অভিবাসী দেশে ফিরতে খুব বেশি তৎপর। কিন্তু তারা সফল হচ্ছেন না। তাদের অনেকে মারাত্মক অসুস্থ। চিকিৎসা নেয়ার মতো অর্থ নেই তাদের কাছে। ৫০ বছর বয়সী একজন ডায়াবেটিসের রোগী। তার পায়ে মারাত্মক ত। তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি হলেন মান্দা রাজেশ্বরণ। বললেন, এখন আমি বড় অসহায়। অর্থ উপার্জন করতে পারি না। আমি দেশে ফিরতে চাই। তিনি ২০০৬ সালে অবৈধ উপায়ে ওমানে গিয়েছেন। তাকে মানবপাচারকারী একটি চক্র ওই দেশে নিয়ে চার মাস পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তিনি ওই দালাল চক্রকে ওমানে নিয়ে দেয়ার জন্য ৮০ হাজার রুপি দিয়েছেন। কিন্তু ওমানে গিয়ে কাজ পেয়েছেন ঠিকই। সেখানে দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি কাজ করে মাসে মাত্র ৩৯ ওমানি রিয়াল উপার্জন করতে পেরেছেন। তারপর থেকে তিনি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেছেন দিনমজুর হিসেবে। দিনি তাতে তিনি ৫ থেকে ৭ রিয়াল উপার্জন করতে পেরেছেন। সেখান থেকে বাড়ি পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোন অর্থ জমা করতে পারেননি। ওদিকে তিনি যে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন তিনি বলেছেন, অবিলম্বে রাজেশ্বরণের তযুক্ত পা কেটে ফেলতে হবে। ওদিকে পলাকা আনন্দ ব্রাহ্মণ ফ্রি ভিসার শিকার। এ ভিসা পেতে তিনি দিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার রুপি। ২০০৮ সালে এ ভিসায় তিনি ওমানে যাওয়ার পর তাকে গ্রহণ করতে কেউ এগিয়ে যায় নি। বিমানবন্দরে তিনি একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর থেকে তিনি এখানে-ওখানে দৌড়াচ্ছেন। দেশে তার স্ত্রী অসুস্থ। তার হার্টে অপারেশন করা হয়েছে। ২০১০ সালে তিনি সাধারণ মার সুযোগ নিয়েছেন। পেয়েছেন আউটপাস। কিন্তু এখনও তার দেশে ফেরা হয় নি। এখন তাকে বলা হচ্ছে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করার জন্য ১৮০০ রিয়াল জরিমানা শোধ করলেই তিনি দেশে ফিরতে পারবেন।