বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
করদাতা নতুন কোম্পানির সংখ্যা না বাড়িয়ে বাজেটে কর্পোরেট করের হার কমানো ঠিক হবেনা বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চ্যায়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদরা। যদিও ব্যবসার খরচ কমানোর পাশাপাশি বিনিয়োগের উৎসাহ যোগাতে কোম্পানি করের হার কমিয়ে আনার দাবি দীর্ঘদিনের। রপ্তানিমুখী শিল্পের কর্পোরেট করের হার ১০ শতাংশ নির্ধারণ চান ব্যবসায়ীরা।
বিদায়ী অর্থ বছরে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য মাত্র ২ লাখ ৩১ হাজার ৫২ কোটি টাকার মধ্যে কর্পোরেট কর আর ব্যক্তি আয় কর থেকেই আহরণের লক্ষ্য ৭১ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। যা মোট লক্ষ্য মাত্রার ৩৫ ভাগ।
আসন্য বাজেটে ৪ লাখ কোটি টাকার বড় বাজেটের রাজস্বের যোগান দিতে কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ বাড়বে এমন শঙ্কায় এবারের বিভিন্ন প্রাক বাজেট আলোচনায় সরব ছিলেন ব্যবসায়ীরা।
চলতি কর হারে সিগারেট ও তামাক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর দিতে হয় ৪৫ শতাংশ হারে। শেয়ার বাজারে বাইরেও মোবাইলফোন কোম্পানিগুলোর করের হার ৪৫ শতাংশ। বাজেটের তালিকাভূক্ত হলে ৪০ শাতাংশ।
তালিকার বাইরে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর করের হার ৪২.৫ শতাংশ। তালিকাভূক্ত হলে ৪০ শতাংশ। এছাড়া তালিকা বাইরের সাধারণ কোম্পানিকে ৩৫ শতাংশ এবং তালিকাভূক্ত কোম্পানিকে ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
এমতাবস্থায় বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দেশে কালো টাকা বেশি কারণ, করের মাত্রা বেশি। তিনি বলেন, অতীরিক্ত করের এই হার বিনিয়োগে উৎসাহ যোগাচ্ছে না। তাই আমরা ১০ শতাংশ চাচ্ছি যাতে কেউ বিনিয়োগ করতে পারে।
এদিকে এই বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলছেন, বাংলাদেশে কোম্পানি করের হার বেশি। তবে দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই এই হার কমানোর পক্ষে না।
আর এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদের পরামর্শ আসন্য বাজেটে তামাক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর হার আরও বাড়ানো উচিত এবং এটার মনিটরিংটা আরও জোড়ালো করা দরকার। তারা কিন্তু সঠিক হিসাব দিচ্ছে না অথবা পাওয়া যাচ্ছে না। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।
সূত্র: ডিবিসি