বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৭ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > খেলা > করোনার বছরে মেসি-রোনালদোর চেয়েও বেশি আয় ফেদেরারের

করোনার বছরে মেসি-রোনালদোর চেয়েও বেশি আয় ফেদেরারের

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ সবধরনের খেলাধুলা। গত মে মাস থেকে শুরু হয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল। তবে পুরোটাই দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। এছাড়াও স্বল্প পরিসরে চলছে আরও কিছু খেলাধুলা। সে অর্থে এখনও ঠিক গতি পায়নি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। কবে ঠিক হবে সবকিছু, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত কোন তথ্য নেই কারও কাছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত এ অবস্থার মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ফেদেরারের আয় ১০৬.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯০২ কোটি টাকার সমান।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডারের তথ্য মতে, চলতি বছরই টেনিসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিলিয়নিয়ার অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলার আয়ের রেকর্ড গড়বেন ফেদেরার। যা তাকে এনে দেবে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসেবে বিলিয়নিয়ার হওয়ার মর্যাদা।

তার আগে বাস্কেটবলে মাইকেল জর্ডান, গলফে টাইগার উডস, প্রো-বক্সিংয়ে ফ্লয়েড মেওয়েদার, ফর্মুলা রেসিংয়ে মাইকেল শুমাখার এবং ফুটবলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্যারিয়ার উপার্জন ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। এ তালিকার ষষ্ঠ এবং সবশেষ সদস্য হিসেবে নাম লেখাতে চলেছেন সুইস টেনিস তারকা রজার ফেদেরার।

বিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন ফেদেরার। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তার সমান ১০৬.৩ মিলিয়ন ডলার আয় হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওলেন মেসি, নেইমার কিংবা লেব্রন জেমসের।

শুধু যে খেলার মাধ্যমেই এত বেশি আয় হয়েছে ফেদেরারের, তা কিন্তু অয়। ২০১৮ সালে নাইকির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর ইউনিকলো’র সঙ্গে ১০ বছরের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) চুক্তি করেছেন ফেদেরার। এর বাইরে বারিল্লা, ক্রেডিট সুইস গ্রুপ, মারসিডিস বেঞ্জ, রোলেক্স এবং উইলসন স্পোর্টিং গুডসের সঙ্গেও চুক্তি রয়েছে তার।

এখনও পর্যন্ত ফেদেরারের ক্যারিয়ার উপার্জন ছাড়িয়েছে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের কোটা। আগামী বছরের আগেই এর সঙ্গে যোগ হবে আরও প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার। যা তাকে বসাবে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসেবে বিলিয়ন ডলারের মালিকের আসনে।