স্পোর্টস ডেস্ক ॥
করোনায় যখন কাঁপছে সারাবিশ্ব, তখন এই প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এক বার্তা দিলেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। সেই বার্তায় জাতি-ধর্ম ভুলে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানালেন তিনি।
সারা পৃথিবীতে কোভিড-১৯ এর শিকার ইতোমধ্যেই ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যাটা চার লাখ ছুঁই ছুঁই। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত স্বার্থ ভুলে সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে এবার আমাদের ভাবার সময় এসেছে। মারণ ভাইরাস নোবেল করোনা মাথাচাড়া দিয়েছে অনেক আগেই। এবার পৃথিবীব্যাপী তার আস্ফালনে সন্ত্রস্ত মানবজাতি। এমন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দাঁড়িয়ে অনুরাগীদের আবেগঘন বার্তা দিলেন শোয়েব।
এক ইউটিউব বার্তায় ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি পাকিস্তানি এই পেসারের আবেগঘন আহ্বান, ‘আমার সকল অনুরাগীদের কাছে অনুরোধ করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বের সংকট। সুতরাং জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের সেভাবেই বিষয়টাকে ভাবতে হবে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন শহর লকডাউন হচ্ছে। কারণ ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে; কিন্তু তোমরা যদি প্রকাশ্যে দেখা-সাক্ষাৎ করতে থাকো তাহলে উদ্দেশ্যটা সফল হবে না।’
রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের আরও আবেদন, ‘এমন সংকটের সময় দিনে আনা দিনে খাওয়া মানুষের কথা মাথায় রাখুন। দোকান-পাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে না। আপনি যে তিনমাস পর বেঁচে থাকবেন তার নিশ্চয়তা কী আছে? তাই গরিব মানুষের কথাও ভাবুন। তারা তাদের পরিবারের মুখে কীভাবে অন্ন তুলে দেবে। মানুষ হয়ে মানুষের কথা ভাবার সময় এসে গেছে। মুসলিম-হিন্দু ঊর্ধ্বে উঠে একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। নিত্যপণ্য সংগ্রহ করুন, মজুত নয়।’
সেসঙ্গে কঠিন সময় নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন আখতার। তার কথায়, ‘আমরা পশুর মত আচরণ করছি। মানুষের মতো বাঁচতে শিখুন। দয়া করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মজুত করবেন না। আমাদের মানুষের মতো বাঁচতে হবে।’
ভগ্নপ্রায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এক অসম লড়াই চালাচ্ছে পাকিস্তান। পৃথিবীর অন্যতম জনবসতিপূর্ণ দেশ পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত ৮৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে প্রায় ২১ কোটি জনবসতিপূর্ণ পাকিস্তানে এখন আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চিন এবং ইরানের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় উদ্বেগ আরও বাড়ছে তাদের।
সংখ্যাটা যাতে খুব বেশি না বাড়ে, ঠিক সে কারণেই উৎকণ্ঠার মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে আবেগঘন বার্তাটা দিলেন শোয়েব আখতার। একইসঙ্গে প্রতিবেশি দেশ ভারতকে নিয়েও উদ্বিগ্ন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। ভারতে সোমবারও করোনার শিকার হয়েছেন ১ জন, মোট ৫০৪। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০।