বুধবার , ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ , ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ , ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকা : বারি’র কার্মচারীর উপর সন্ত্রাসীদের হামলা

কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকা : বারি’র কার্মচারীর উপর সন্ত্রাসীদের হামলা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) অর্থবিভাগের কর্মচারী উপর সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে এখন পঙ্গুত্ব জীবন বরণ করতে হলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরবতা আর প্রভাবশালীলের চাপের মুখে আইনের কাছে বিচার চাওয়ার সাহস পায়নি অসহায় কর্মচারী সাইদুর ইসলাম।
গাজীপুর মহানগরের তরৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা বারি’র কর্মচারী সাইদুর ইসলাম। গত ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুলপড়–য়া মেয়েকে প্রাইভেটে দিয়ে আসার পথে ছোটদেওড়া স্কুল মাঠে স্থানীয় সস্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে আহত হন সাইদুর। ছোটদেওড়া স্কুল মাঠে আগে থেকেই উৎপেতে ছিল সন্ত্রাসীরা। সাইদুরকে হাতের নাগালে পাওয়ার সাথে সাথে লাঠি ও হকিস্টিক নিয়ে ঝাপিয়ে পরেন। এলোপাতারি লাঠি ও হকিস্টিকের আঘাতে জ্ঞান হারান সাইদুর। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী পালিয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তিনদিন হাসপাতা চিকিৎসা নেন। বর্তমানে অনেকটা পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন।
এ বিষয়ে সাইদুর জানান, গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অর্থবিভাগের প্রধান সিরাজুল হককে অফিসে খুব জোরালো ভাবে চাপ দিচ্ছিল জনৈক ঠিকাদার কোটেশনের একটি কাজের জন্য। ফান্ডে টাকা নেই বিষয়টি সিরাজুল হক বুঝানোর চেষ্টা করলেন উক্ত ঠিকাদারকে। কিন্তু ঠিকাদার এ কথা শুনতে নারাজ। মূহুতেই ক্ষেপে গিয়ে অর্থবিভাগের প্রধান সিরাজুল হককে গালমন্দ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মারার চেষ্টা করে। তখন অফিসে উপস্থিত থাকা ঐ বিভাগেরই কর্মচারী সাইদুর ইসলাম বাঁধা দিলে বেধে যায় সাইদুলের সাথে ঠিকাদারের বাগবিতন্ডা ও হট্টোগোল এবং সাইদুর ইসলামকে হুমকি দেয়- ‘তোকে দেখে নিবো; দু’দিনের মধ্যেই’ এরই ফলশ্রুতিতে ঠিক দু’দিন পর এ সন্ত্রাসী হামলা।
এ বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল বিকাল ৪টায় বারি’র অর্থবিভাগের প্রধান সিরাজুল হকের সাথে সেলফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, গত ২৩ এপ্রিল থেকে আমি রিটায়ারম্যান্টে চলে গেছি। আজকে অফিসিয়াল ফাইলপত্র এবং দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আইনগত বিষয়ে এ মুহূর্তে যাওয়ার আমার সুযোগ নেই। সাইদুরের বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছেন।