শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > কাঁচাবাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে

কাঁচাবাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের ছুটি ও হরতালের পর রাজধানীর কাঁচাবাজারে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল সরবরাহ বাড়ায় বিভিন্ন সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা কমেছে। কাঁচামরিচের দাম হঠাত্ বৃদ্ধির পর গতকাল তা কমে পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় নামে। তবে পেঁয়াজ, আদা ও ব্রয়লার মুরগি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ সংকটে এক দিনের ব্যবধানে গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম দ্বিগুণ বেড়ে ১২০-১৪০ টাকায় পৌঁছায়। সরবরাহ বাড়ায় গতকাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। পাইকারি ব্যবসায়ী আবুল বাছেদ বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রতিদিন গড়ে ১২-১৫ ট্রাক কাঁচামরিচ আসে। গত বৃহস্পতিবার মাত্র পাঁচ ট্রাক মরিচ এসেছিল। এ কারণে হঠাত্ দাম বেড়ে যায়। কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির সরবরাহও স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর কয়েকটি সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক দিনের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। শিম, বরবটি, ঢেঁড়স ও বেগুনের দাম কমতির দিকে। আগের দিনের তুলনায় গতকাল এসব সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি বেগুন ২০ টাকা, করলা ২৫, শিম ৬০, ঢেঁড়স ২০, পটোল ১৮, টমেটো ৮০, ঝিঙা ২৫, ধুন্দল ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। এর মধ্যে ইলিশের দাম কিছুটা কমতির দিকে। আগে প্রতি কেজি ইলিশ ৯০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৭০০-৮০০ টাকায় নেমেছে। রুই প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহিষ ও গরুর মাংসের দর আগের মতো যথাক্রমে ২৬০ ও ২৮০ টাকায় রয়েছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম ৫-১০ টাকা বেড়ে ১৫০-১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।

গত কয়েক দিনে চাল, ডাল ও তেলের দাম বৃদ্ধি পায়নি। তবে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আগামী সপ্তাহে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হতে পাবে বলে মনে করছেন কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মালিক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘ঈদের পরে বাজারে বিক্রি কম থাকায় আগের কেনা চাল কম দামে বিক্রি করছি। নতুন করে কেনার পর এর দাম বাড়তে পারে। বর্তমানে প্রতি কেজি নাজির ৪৫-৫০, আটাশ ৪০-৪২, মিনিকেট ৪৪-৪৬, স্বর্ণা ৩৬-৩৮, চিনিগুঁড়া ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

কারওরান বাজারের ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, হরতাল ও ঈদের ছুটির কারণে কয়েক দিন বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল না। ঈদের ছুটি কাটিয়ে অনেক পাইকার ও ফড়িয়া ফিরে এসেছেন। ফলে বাজারের সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।