তাওহীদ হোসেন
কাপাসিয়া ব্যুরো ॥
গাজীপুর: কাপাসিয়ায় বেশিরভাগ হাসপাতালের মালিকগণ হাসপাতাল পরিচালনায় সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কাই করেন না। কাপাসিয়ার বড় বড় হাসপাতাল গুলোতেও নেই ২০১৯-২০ সালের লাইসেন্স।
প্রথমটি দেলোয়ার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এটাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি
লক্ষ্য করা গেলেও, হাসপাতালটিতে নেই সরকারি অনুমোদন। কিছু কাগজপত্র দেখাতে
পারলেও ড্রাগলাইসেন্স দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে হাসপাতালটির মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি ঔষধ বিক্রি করিনা। তার রুমে থাকা ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপারেশনের সময় জরুরি প্রয়োজনের জন্য এত ঔষধ রেখেছেন।
দ্বিতীয়টি জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। হাসপাতালটির এমডি জানান, আমাদের এ বছরের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। কাগজপত্র দেখতে চাইলে এমডি বলেন, কাগজপত্র ম্যানেজারের কাছে রয়েছে, সে হাসপাতালে নেই।
তৃতীয়টি কাপাসিয়ার জনপ্রিয় হাসপাতাল নাম তার শীতলক্ষ্যা। এই হাসপাতালটিতে গিয়ে কাউকে না পাওয়া গেলেও ম্যানেজার পরিচয়ে একজন বলেন, নবায়নকৃত লাইসেন্সও নেই, শুধু পরিবেশ ছাড়পত্রের আবেদন ছাড়া আর কিছুই দেখাতে পারেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জানায়, কাপাসিয়ায় ৪২টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই বাছাই চলছে।