লালমনিরহাট প্রতিনিধি ॥
লালমনিরহাট: স্বামীর ছুরিকাঘাতে কালীগঞ্জ উপজেলায় মরিয়ম বেগম (২৩) নামের এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে। স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরতর আহত মরিয়ম সোমবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মরিয়ম কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফার কন্যা এবং একই উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের সন্তান সোহাগ মিয়ার (২৫) স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, সাত মাস আগে সোহাগের সঙ্গে বিয়ে হয় মরিয়মের। বিয়ের পর থেকে সোহাগ বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। মরিয়মকে ভরণ-পোষণের খরচ না দিয়ে গত ৩ আগস্ট স্বামী সোহাগ বাড়িতে রেখে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় মরিয়মও স্বামী সোহাগের সঙ্গে ঢাকা যেতে চাইলে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহাগ রেগে গিয়ে মরিয়মকে ছুরিকাঘাত করে জখম করেন। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় মরিয়মকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সোমবার সকালে মারা যান নববধূ মরিয়ম। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঘাতক স্বামী সোহাগসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মরিয়মের মা আজিমন নেছা কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।