কালীগঞ্জ ব্যুরো ॥
গাজীপুর: কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের মধ্য চুয়ারিখোলা এলাকায় দুই ধর্ষকের দ্বারা ১১ বছরের কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে এলাকাবাসী আটক করে শনিবার বিকেলে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে দুইজনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত ওই দুই ধর্ষককে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন, তুমলিয়া ইউনিয়নের মধ্য চুয়ারিখোলা গ্রামের মৃত পেরি মহন দাসের ছেলে শান্তি রঞ্জন দাস ও একই ইউনিয়নের পুন্যারটেক গ্রামের মৃত নরেন্দ্র মন্ডলের ছেলে তপন মন্ডল।
এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর প্রতিবেশি চাচাতো ভাই শান্তি রঞ্জন মন্ডল (৫৬) গত ৮/৯/২০১৯ তারিখে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিশোরীকে ঘর থেকে পানি আনার জন্য বলে সে। তখন কিশোরী পানি এনে তাকে দিলে শান্তি রঞ্জন তার মুখ চেপে ধরে ঘরের কোণে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই কিশোরীকে সে ভয়ভীতি দেখায়।
ঘটনার কিছুদিন পর গত ৩/৯/২০১৯ তারিখে মধ্য চুয়ারিখোলা এলাকায় মিলন কুঞ্জ মেলা হতে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক জীবনের পুকুর পাড় দিয়ে আসার সময় আসামি তপন মন্ডল (৫০) বিড়ি আনার জন্য ওই কিশোরীকে বলে। বিড়ি নিয়ে তপনকে দেয়ার সময় ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পুকুর পাড়ে সুকু চন্দ্র দাসের গোডাইনের ভেতর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তপন।
এর কিছুদিন পর কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে তার মা ও ভাবী তাকে ঘটনাটি জিজ্ঞাস করে। শান্তি ও তপন পরপর দুইবার তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে কিশোরী তার মা ও ভাবীকে জানায়। ঘটনাটি কাউকে না জানার জন্য তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
পরবর্তীতে ঘটনার বিস্তারিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করলে তাদের পরামর্শে শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় সে অন্তঃসত্ত্বা। শনিবার অভিযুক্ত ওই ধর্ষক দুইজনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণ মামলায় দুই ধর্ষককে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।