শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান ট্রম্পের

কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান ট্রম্পের

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাদাভাবে আলাপকালে ট্রাম্প তাদের ওই পরামর্শ দেন। খবর আনাদোলুর।

ট্রাম্প বলেন, এ কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

মোদি ও ইমরান খানকে তার ভালো বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মোদি ও ইমরান খানকে আলোচনায় বসতে হবে।

কাশ্মীরের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে উভয়পক্ষকে শুরু থেকেই আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে।

কাশ্মীরি সংগঠনগুলো বলেছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের অর্থ হলো- সেখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপত্যকাটিকে কয়েক দিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তাবলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের কারণে স্বায়ত্তশাসন হারান কাশ্মীরিরা। স্থানীয় বাসিন্দা নন এমন নাগরিকদের সম্পত্তি কেনা ও বিয়ে করার সুযোগ করে দিয়েছে ভারত। এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন কাশ্মীরি জনগণ। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। অবরোধও চলছে।

এদিকে ওই দিনটি থেকে কাশ্মীরের টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রেখেছে দিল্লি এবং লোকজনের অবাধ চলাচল ও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। দুজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ কয়েকশ কাশ্মীরি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে সাত লক্ষাধিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে।