শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > খেলা > কেনো ‘বিশ্বসেরা’ অলরাউন্ডার? দেখালেন রশিদ খান

কেনো ‘বিশ্বসেরা’ অলরাউন্ডার? দেখালেন রশিদ খান

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
আইসিসির র‌্যাংকিং সিস্টেমে বিশ্বাস করতে চান না অনেকেই। ধরতে চান না পারফরম্যান্সের মানদণ্ড বা পুরস্কার হিসেবেও। যে কারণে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান যখন ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে সাকিব আল হাসানকে টপকে উঠে যান সবার শীর্ষে তখন বাঁকা চোখেই তাকিয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা।

সবার একটাই প্রশ্ন, আপাদমস্তক লেগস্পিনার রশিদ খান আবার অলরাউন্ডার হয় কী করে? আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে কব্জির ঘূর্ণির জন্যই বিশ্বনন্দিত তিনি। ব্যাট হাতে তার অবদানই বা কী থাকে যে একদম বিশ্বসেরার খেতাব পেয়ে গেলেন?

এতসব প্রশ্নের জবাবটা যেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতেই দিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণ তারকা রশিদ। প্রথমে ব্যাট হাতে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার মতো পুঁজি, পরে বল হাতে মাত্র ২২ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে থামিয়েছেন আইরিশদের জয়ের স্বপ্ন।

রশিদের এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের বদৌলতে মাত্র ২২৩ রান করেও ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। যা কি-না দেশটির ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে চার ম্যাচ শেষে ২-১ ব্যবধানে লিড নিয়েছে আফগানরা।

দেহরাদুনে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। তার সিদ্ধান্তের প্রতি সঠিক বিচার করে মাত্র ৬৭ রানেই আফগানদের প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন টিম মুরতাঘ, এন্ডি ম্যাকব্রাইনরা।

প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক আসগর আফগান। কিন্তু তিনিও রণে ক্ষান্ত দেন দলীয় ১৩১ রানের মাথায়, ফেরেন সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে। আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৫৪ রান করেন তিনি। তখন আফগানদের ইনিংস ১৫০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা।

সেখান থেকে দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন ‘ব্যাটসম্যান’ রশিদ খান। সঙ্গে পেয়ে যান আরেক স্বীকৃত অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাবীকে। দুজন মিলে অষ্টম উইকেটে যোগ করেন ৮৬ রান। দলীয় ২১৭ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৬ চারের মারে ৬৪ রান করেন নাবী।

ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে নিজের চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন রশিদ। মাত্র ৫৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে খেলেন ৫২ রানের সাহসী ইনিংস। আফগানদের ইনিংস থামে ২২৩ রানে। আইরিশদের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেমস ক্যামেরন ডো।

২২৪ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে চারজনই ভালো শুরু পেলেও বড় করতে পারেননি নিজেদের ইনিংস। যার মাশুল দিয়ে মাত্র ১১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন কেভিন ও’ব্রায়েন। অধিনায়ক পোর্টারফিল্ডের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।

আফগানদের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আফতাব আলম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খান। অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও জেতেন রশিদ।