বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দেয়ালে সাঁটানো নামাজের সূচি, আছে জায়নামাজ ও হাদিসের বই। হিন্দুধর্মালম্বীদের পূজার জন্য মূর্তি, সঙ্গে রাশি গণনার শাস্ত্রীয় মন্ত্র, পূজার ঘণ্টা ও আগরবাতির দানি। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে এমনই ব্যবস্থা ছিল।
আবার এই ক্লাবেই চলতো জমজমাট ক্যাসিনো। লেনদেন হতো কোটি টাকার জুয়ার।
গত রোববার রাতে রাজধানীর মতিঝিলে এই ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। সেইসঙ্গে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও দিলকুশা স্পোটিং ক্লাবে চলে অভিযান। ওই অভিযানে এই তিন ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ও মাদক উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ক্যাসিনো ও জুয়ার বিপুল সরঞ্জাম।
‘খেলা শুরুর আগে ধর্মীয় কিছু রীতি পালন করে খেললে ভালো খেলা যায়’,- এই বিশ্বাস থেকে অনেকে এটি করতেন। তাই এসব ক্লাবে ধর্মীয় রীতি পালনের ব্যবস্থা ছিল বলে ধারণা পুলিশের।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেন্স ক্লাবের নিষিদ্ধ জুয়ার কেসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। তখন ওই ক্যাসিনোর ভেতর থেকে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ওইদিনই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। কোটি কোটি টাকার ক্যাসিনো সেটাপ, নারী-পুরুষ এনে সেগুলো পরিচালনা করাসহ নানা অবৈধ কাজ চলতো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ইয়ংমেন্স ক্লাবে। ক্যাসিনোর টাকার ভাগ কে কে পেতেন, নাম বলতে শুরু করেছেন খালেদ।