শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > ক্ষমতায় থেকে কেউ নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারবে না

ক্ষমতায় থেকে কেউ নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারবে না

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাজোট সরকার কাউকে বাদ দিয়ে একলা নির্বাচন করতে চায় না বলে সংসদকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীরা যেসব সুযোগ সুবিধা পান অর্ন্তবর্তী সরকারের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা সে সময় সে সুযোগ পাবেন না। নির্বাচন কমিশন একটি কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করবে, সে অনুযায়ী সবাই নির্বাচনে অংশ নেবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভোটার তালিকায় ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার নেই। তাই বর্তমানে ক্ষমতায় থেকে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না। তাই বিরোধী দলকে শান্তির পথে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান করছি, তাহলে দেশ শান্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

তোফায়েল বলেন, সংসদে আলোচনা হতে পারতো। কিন্তু তারা সংসদে আসলো না। বিরোধী দলীয় নেত্রী আগেরবার ১ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি।

তিসি বলেন, অথচ নির্বাচন হতেই হবে। আমরা সংবিধান সংশোধন করেছি। সেই সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে। বিরোধী দলীয় নেত্রী যদি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন তাহলে কিভাবে সিলেটের জনসভায় তিনি নির্বাচন প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অসযোগিতা করতে বলেন!

এর আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বলেন, একক নির্বাচন অতীতেও হয়েছে। আমরা তা দেখেছি। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে পথ চলা যায় না। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর করতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, নির্বাচন এক জিনিস আর যুদ্ধাপরাধের বিচার অন্য জিনিস। আমরা কিছুতেই এ বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারি না। আমরা কারো ফাঁসি চাইতে পারি না। এটা বিচার বিভাগ দেখবে।

এ সময় ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী তাকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে বললে ক্ষেপে যান এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। তিনি ডেপুটি স্পিকারকে বলেন, আপনি হাউজে থাকলে আমি দাঁড়াই না। আপনি যখন ইচ্ছা মাইক বন্ধ করে দিয়েন।

এরপর শওকত আলী বলেন, আপনি স্পিকারকে চ্যালেঞ্জ করছেন।

এদিকে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সবার আগে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জাসদ নেতা মইনউদ্দীন খান বাদল। তিনি চট্টগ্রামের লালখান মাদ্রাসায় গেনেড তৈরির কারখানা বিষয়ে সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাদল বলেন, হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি ইজহার তথাকথিত মাদ্রাসার নামে গ্রেনেড উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে এ ধরনের লোককে গ্রহণ করা হবে না। এ ধরনের লোকের বিচারের জন্য র্দীর্ঘ মেয়াদী বিচারের দরকার নেই। আমরা দ্রুত বিচার আইন পাস করেছিলাম। কিন্তু আমরা আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছেছি যে বিচার হলেও তা কার্যকর হয় না। এ কারণে সবার মধ্যে প্রশ্ন জাগে রায় কার্যকর হবে কিনা।

তিনি বলেন, যে দল (বিএনপি) সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো কুলাঙ্গারকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে দলকে রাজনীতি করতে দেওয়া যায় কি না তা ভাবতে হবে।

মঙ্গলবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্যরা।