শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > খতিয়ান ডিজিটালাইজেশন মাত্র এক-তৃতীয়াংশ!

খতিয়ান ডিজিটালাইজেশন মাত্র এক-তৃতীয়াংশ!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥

ঢাকা: প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে চলে এলেও মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রি করে সহজে জনগণকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনও প্রায় সোয়া ৩ কোটি খতিয়ানের ডিজিটালাইজেশন সম্ভব হয়নি।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ভূমি জরিপ পদ্ধতিতে আইসিটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ৫৫টি জেলার রেকর্ডরুমের খতিয়ান ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সিএস (সিটি সার্ভে), এসএ (স্ট্রেট অ্যাকুইশন সার্ভে) ও আরএস (রিভিশনাল সার্ভে) জরিপের মোট ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৪টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রির কাজ চলছে। কিন্তু মেয়াদ শেষের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ দেড় কোটি খতিয়ানের ডিজিটালাইশেন সম্পন্ন করা গেছে।

‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রণয়ন এবং সংরক্ষণ: বিদ্যমান মৌজা ম্যাপস অ্যান্ড খতিয়ানসমূহের কম্পিউটারাইজেশন’ শীর্ষক প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের জুলাই মাসে। প্রথমে ২০১৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত এবং ব্যয় বাড়িয়ে ৯২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা করা হয়। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপরও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় এখন  ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ল্যান্ড রেকর্ড সিস্টেম (ইএলআরএস) বিষয়ে প্রতিটি জেলার রেকর্ড রুমের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যেও প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও প্রকল্প পরিচালক আবুয়াল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,  ‘ইএলআরএস সমস্যার কারণে প্রকল্পটি আমরা নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারছি না। এ সমস্যায় অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ২০১২ সালে ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে ফের ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হলেও সফটওয়্যারের কিছু সমস্যা নতুন করে দেখা দেয়। নতুন ইএলআরএস সফটওয়্যার তৈরি করে পরীক্ষামূলকভাবে সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম চালু হয়। কিছুদিন পরে আবারও সফটওয়্যারের সমস্যা দেখা দেয়। সফটওয়্যারজনিত এ সমস্যার কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে’।

‘এটুআই’র মাধ্যমে নতুন করে সফটওয়্যারের কাজ শুরু করেছি। এখন কাজের গতি ভালো। আশা করছি, আমরা যে সময় চেয়েছি, তার মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো’।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মূল কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে খতিয়ান সংরক্ষণ এবং ভূমি মালিকদের সহজে সরবরাহ করা। যেন  ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রণয়ন করে উন্নতমানের সেবা দেওয়া যায়। আগে জমির খতিয়ান পেতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগতো।  এখন ডিসি অফিস থেকে একদিনেই খতিয়ান পাওয়া সম্ভব। প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমির খতিয়ান সংরক্ষণ করা হবে। জনগণ জমির দাগ নম্বর বললে যেন একদিনেই জমির খতিয়ানের প্রিন্ট কপি সরবরাহ করা সম্ভব হয়’।

তবে মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে শেষ সময়ে এসে ভূমি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।

আইএমইডি মনে করছে, একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।  আর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না, আগামী জুনের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন না হলে প্রয়োজনবোধে একই ধরনের নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম