শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে ২৩ জুন

খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের পিছিয়ে ২৩ জুন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন ফের তিন সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী ২৩ জুন পুনর্র্নিধারণ করেছেন আদালত।

খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২ জুন) নতুন এ দিন ধার্য করা হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৩-এর বিচার আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।

আদালতে হাজির হয়ে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের আগে সময়ের আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এর আগে উচ্চতর আদালতে এ মামলার চলমান একটি আবেদনের বিষয়ে আদালতকে অবগত করেন খালেদার আইনজীবী আব্দুল রেজ্জাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও সানাউল্লাহ মিয়া।

অপরদিকে আসামিপক্ষের সময় মঞ্জুর না করার জন্য বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আদালতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই।

সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ১০টা ৩৭ মিনিটে তিনি বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠের বিশেষ আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে এজলাসকক্ষে যান খালেদা জিয়া।

আজ এ মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। খালেদা আদালতে না গেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ছিল গত ১৯ মে। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে শুনানি পিছিয়ে যায়।

সেদিনই বিচারক জানিয়ে দেন, ২ জুন আদালতে অনুপস্থিত থাকলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।

এর আগে গত ৭, ১৭, ২৫ এপ্রিল ও ৫ মে চার দফা খালেদার সময়ের আবেদনে তার আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে যায়।

গত বছরের শুরুর দিকে হরতাল-অবরোধ ডেকে টানা তিন মাস খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকার সময় আদালতে না যাওয়ায় একই বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা জারির একমাস দশ দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।