স্টাফ রিপোর্টার ॥ পিতা-মাতাকে হত্যার বর্ণনা দিলো ঐশী। গোয়েন্দাদের কাছে ১৭ বছর বয়সী এ কিশোরী বলেছে, কিভাবে সে তার পিতা-মাতাকে হত্যা করে। সাংবাদিকদের কাছে একথা জানিয়েছেন, ডিসি ডিবি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ঐশী শুরুর দিকে ঘটনায় দায় স্বীকার না করলেও পরে তা স্বীকার করেছে। সে বলেছে, ওই রাতে কফির সঙ্গে ১০টি নাইট্যাস ট্যাবলেট মিশায়। দুই কাপ কফির এক কাপ খাওয়ান বাবাকে, এক কাপ খাওয়ান মাকে। পরে হত্যায় সে নিজেই অংশ নেয়। তার সঙ্গে ছিল তার বন্ধু মিজানুর রহমান রনি।
হত্যার ঘটনা দেখে ফেলে কাজের মেয়ে সুমী। সুমীকে ভয় দেখায় ঐশী। রক্ত পরিস্কার করতে এবং লাশ বাথরুমে নিতে সুমী সহায়তা করে। ওই রাতে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ছিলেন এক ঘরে। তার স্ত্রী ছিলেন অন্যরূমে। মায়ের সঙ্গেই ছিলো পুলিশ দম্পতির ছোট ছেলে ঐহী রহমান। ঐহী খুনের দৃশ্য দেখে চিৎকার করে। মাকে হত্যার দৃশ্য সে দেখেছে বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে। তবে বাবাকে হত্যার দৃশ্য সে দেখেনি। যদিও ঐহী রহমানের কথার ওপর গোয়েন্দারা এখনও নির্ভর করতে পারছে না। সে শিশু এবং এখনও মানসিকভাবে স্থির হতে পারেনি। মনিরুল ইসলাম বলেন, আরও দুই জনকে আমরা সন্দেহ করছি। তাদের খোঁজা হচ্ছে। তাদের পাওয়া গেলে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হবে। তিনি বলেন, ইয়াবা আসত্তির কারণেই ঐশী এতটা হিংস্র হয়ে উঠে।