বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
খুলনার ডুমুরিয়ার আটককৃত ৯ রাজাকারকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ৯ জুলাই তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।
একই মামলার অপর দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। এর আগে ২১ এপ্রিল মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়া থানা ও ঢাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। এই মামলায় মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনকে খুলনা থেকে ও দুইজনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান (৭৫), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. শাজাহান (৬৮), করিম শেখ (৬৮), আবু বকর সরদার (৬৭) ও রওশন আলী গাজী (৭২)। ঢাকায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাজের আলী ফকির (৬৮) ও সোহরাব হোসেন সরদার (৬২)। গ্রেফতারকৃতদের সবার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা ১৯৭১ সালের ১৮ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা আনু মোল্লা ওরফে আজিজ শেখ, মজিদ বিশ্বাস, সাহেব আলী, শামসুল মোল্লা, ইমাম শেখ, আমজাদ সরদার, আব্দুল লতিফ মোড়ল ও কাওসার শেখসহ ৯ জনকে ধরে নির্যাতন করতে করতে রানাই এলাকার বকুলতলা এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে তাদেরকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। সেখান থেকে জীবন নিয়ে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। ওই ঘটনায় খর্নিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী গাজী বাদী হয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, হত্যা মামলার তদন্তকালে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আরো ৪/৫ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
