শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > বিনোদন > গুলতেকিনের বিয়ে নিয়ে ক্ষেপেছেন তসলিমা

গুলতেকিনের বিয়ে নিয়ে ক্ষেপেছেন তসলিমা

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥
প্রয়াত নন্দিত কথা সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খান নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেছেন গুলতেকিন।

গত অক্টোবরের শেষের তারা বিয়ে করেন। আর সম্প্রতি এ বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে। আর হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে গুলতেকিনের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে। দ্বিতীয়বার নতুন করে জীবন সাজানোয় শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু-বান্ধবরা গুলতেকিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আবার গুলতেকিনের বিয়ের খবরে অনেকেই সমালোচনাও করছেন। এর মধ্যেই গুলতেকিনকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। গুলতেকিনকে নিয়ে লেখা তসলিমার ফেসবুকের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ফেসবুক হুমায়ুনে টইটম্বুর। হুমায়ুনের বউ বুড়া বয়সে বিয়া করছে, তাতেও হাত্তালির সীমা নাই। মহিলারা বুড়া বয়সে বিয়া করলে সমাজ কোনও প্রব্লেম করে না, উল্ডা খুশি হয়, কবে হইলো বাংলাদেশ এত্ত উদার, এত্ত নারী ফ্রেন্ডলি? আমার বয়সও তার মতই, কিন্তু আমি যদি এখন বিয়া করছি ঘোষণা দেই, আমার চামড়া ছিইল্ল্যা মাইনষে লবন লাগাইবো, আর আমারে জ্যান্ত কব্বর দিবো, ফেসবুক ভাসাইয়া ফেলবো খাপসা গালি দিয়া, আমারে কুত্তা দিয়া কী করবো কইয়া, আর আমার ইনবক্স গান্ধা বানাইবো তাগোর ইয়ের ছবি পাঠাইয়া।

হুমায়ুন তার বউরে তালাক দিয়া কচি একটা ছেড়িরে বিয়া কইরা দূরে চইলা গেসে, আমোদে আহ্লাদে রাজার জীবন যাপন করছে, খরচপাতি দেয় নাই, বউ এক্লা এক্লা পুলাপান মানুষ করছে, — এই কারণে বউয়ের লাইগ্যা মাইনষের করুণা জন্ম নিসে। এত সেক্রিফাইস যে করছে স্বামীর জন্য, নিজের লেখাপড়া ছাইরা স্বামীর সেবা যতœ করছে, স্বামী মইরা যাওয়ার পর, পুলাপান বড় হইয়া যাওয়ার পর না হয় তার একটু সাধ আহ্লাদ মিটাক। অভিনন্দন ওই করুণা থেইকাই আসতাসে।

আমার কথা বাদ দিলাম। অন্য কোনও মহিলা, যে মহিলা স্বামীর জন্য সেক্রিফাইস করে নাই, পুলাপানের কথা ভাইবা নিজের সাধ আহ্লাদ বিসর্জন দেয় নাই, হুমায়ুনের বউয়ের মতো বুড়া বয়সে বিয়া একবার সে করতে চাক না— গাইল্যাইয়া তার গুস্টি উদ্ধার করবো মানুষ।

এক মহিলার বুড়া বয়সের বিয়া মাইনা নিসে সমাজ। তার মানে কিন্তু মেয়ে- মহিলারা যা ইচ্ছা তাই করনের সুযোগ পাইয়া গেসে তা না। পাইয়া গেসে ভাইব্যা সুখ পাওয়ার কিছু নাই।

বিয়া করাডার নাম নারী স্বাধীনতা না। বরং উল্ডা। বিয়া না কইরা, ত্যাগ না কইরা, মাইনষের করুনার পাত্রী না হইয়া, পরনির্ভর না হইয়া, মাথা উচা কইরা বাচার নাম নারী স্বাধীনতা। ভুইলা গেলে চলবে না বিয়া জিনিস্টাই নারী বিরোধী।’