শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > গোয়েন্দা নজরদারিতে ইউনাইটেড এয়ারের কর্তারা

গোয়েন্দা নজরদারিতে ইউনাইটেড এয়ারের কর্তারা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজের বাসচালকের আসনের পাশ থেকে ১৮ কেজি সোনার বার উদ্ধারের পর শীর্ষ কয়েক কর্মকর্তাসহ বিমানবন্দরের দেড় ডজন কর্মচারী গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।
শুক্রবার সকালে মাসকাট থেকে দুবাই হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৪ এইচ-৫৮২ নম্বর এয়ারক্রাফট যাত্রীদের নিয়ে টার্মিনালে আসার সময় যাত্রীবাহী বাসের (কোচ ০২ নং ১৫১২) চালক গফুর কবির ফালানের আসনের পাশ থেকে একটি ব্যাগে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো একশ ৫৫টি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বাসচালক ফালানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে ছেড়েও দেয় কাস্টম গোয়েন্দারা।
ওই সোনা উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান, ফ্লাইট অপারেশন পরিচালকসহ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের গোয়েন্দানজরদারিতে আনা হয়।
হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইউনাইটেড এয়ারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তাজবিরুল আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন লিয়াকতসহ স্টেশন ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম, ইমরান আলীসহ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজে নিয়োজিত ১৫/২০ জনকে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি জানান, বিশেষ করে সোনার বার উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে তাদের আচরণ ও বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথোপকথন গোয়েন্দাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। আর এ জন্য তাদের গতিবিধি ছাড়াও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সিনিয়র এএসপি ইকবাল হোসাইন জানান, কয়েক মাসে বিমানের বিভিন্ন এয়ারক্রাফটের গোপনস্থানে পর পর কয়েকটি সোনার চালান ধরা পড়ার ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ নিয়োজিতদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও তালিকা করা হয়েছে। বেসরকারি কয়েকটি এয়ারলাইন্স বিশেষ করে ইউনাইটেড ও জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের কয়েকজনও এ তালিকায় রয়েছেন।