শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > ভ্যারাইটিজ > গ্রীষ্মের অতিথি দেশি শুমচা

গ্রীষ্মের অতিথি দেশি শুমচা

শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক ॥
বনের পাখিগুলোর দিনকাল ভালোই কাটছে। গবেষকেরা মনে করছেন, বেশির ভাগ বুনো পাখি এ মৌসুমে স্বাচ্ছন্দ্যে বাসা বানিয়ে নিরাপদে বাচ্চা ফোটানোর সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশে অধিকাংশ আবাসিক পাখির প্রজনন ঋতু গ্রীষ্ম। বন এবার কোলাহলমুক্ত। প্রজনন তাই অবারিত।

দেশি শুমচার জন্য এ বছর একেবারেই আলাদা। এমন দিন পাখিগুলোর আর কখনো আসেনি। পরিযায়ী শুমচাকে সাধারণ মানুষ জানে অতিথি পাখি হিসেবে। প্রতি গ্রীষ্মে এ পাখিগুলো আমাদের দেশে আসে খাওয়া আর প্রজননের জন্য। অতিথি হয়ে এলেও পাখিগুলোর জন্ম কিন্তু বাংলাদেশেই। তাই এ পাখিগুলোকে অতিথি না বলে গ্রীষ্মের পরিযায়ী বলাই সংগত।

এবার শালবন আর সিলেটের বনগুলোয় মানুষের আনাগোনা কম। পাতাকুড়ানিদের ভিড়ও কমেছে। শালবন ঝরাপাতায় আচ্ছন্ন। বৃষ্টিও হচ্ছে। পুরো বনে অদ্ভুত বুনো গন্ধ। পচে যাওয়া ঝরাপাতার নিচে জন্মেছে এন্তার পোকাকামড়। দেশি শুমচাগুলোর ভোজসভা বসেছে। আমাদের কয়েকজন পাখি–দেখিয়ে বন্ধু ছবি তুলে পাঠিয়েছেন পাখিগুলোর।

দেশি শুমচা বনের পোকাখেকো পাখি। সেই লোভেই হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এ সময়ে আমাদের বনে আসে এ পাখিগুলো। পুরোনো বাঁশঝাড় আর শালবন এগুলোর খুব প্রিয়। বর্ষায় পচা পাতা উল্টে খাবার ধরে খায়। পাশাপাশি প্রজননকালও পার করে। শালবন এখন দেশি শুমচার ডাকে মুখর।

পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় ছয় জাতের শুমচা দেখা যায়। বাংলাদেশে আছে পাঁচ জাতের। তিনটি আমাদের আবাসিক পাখি। দেশি শুমচা মাত্র তিন মাসের জন্য ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকে আমাদের দেশে আসে। শীত নামলে বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে পাড়ি জমায়।