শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > গ্রেফতার হতে পারেন মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বরসহ কেন্দ্রীয় ডজন খানেক নেতা!

গ্রেফতার হতে পারেন মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বরসহ কেন্দ্রীয় ডজন খানেক নেতা!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সরকারি ও পুলিশের কাজে বাধাদান, সড়ক অবরোধ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় দুই ডজন নেতাকে খুঁজছে পুলিশ। গত দুই রাতে তাদের বাসায় অভিযানও চালিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করেছে পুলিশ। দলটির মানববন্ধন ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরপর ২দিনে এ মামলা ৩টি দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর পল্টন মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলাটিতে আসামির তালিকায় ২৭ নম্বরে রয়েছে তার নাম। এ ছাড়া মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনকে করা হয়েছে ১ নম্বর আসামি। এই মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার একজন আইনজীবীকেও আসামি করা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থাকা বৃদ্ধ এ আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান। আসামির তালিকায় তার নাম রয়েছে ২৫ নম্বরে।

এ মামলায় আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এমএ মালেক, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহীদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু ও বেলাল আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুজ্জামান খান শিমুল, হাসান মামুন, রফিক শিকদার, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, শেখ মো. শামীম, অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার ওয়াহিদা, সাবেরা আলাউদ্দিন ও কাজী মফিজুর রহমান প্রমুখ।

তরিকুল ইসলামের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে পুলিশের একটি টিম তাদের শান্তিনগরের বাসায় গিয়েছিলেন। তবে ওই সময় ফলোআপ চিকিৎসায় হাসপাতালে ছিলেন তরিকুল ইসলাম।

১২ সেপ্টেম্বর রাতে পল্টন থানায় আরো ২টি মামলা করে পুলিশ। মামলা ২টিতে আসামির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান খান শিমুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতার নাম।

পুলিশের মতিঝিল জোনের এসি মিশু বিশ্বাস জানান, বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে সরকারি কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গত বুধবার রাতে পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। এখন নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দিচ্ছে। তরিকুল ইসলাম, নিতাই রায় চৌধুরী, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, চলচ্চিত্র অভিনেতা হেলাল খান, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, হাসান মামুনসহ অনেকের বাসায় গিয়ে তাদের খোঁজ করেছে পুলিশ।