শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া : ওবায়দুল কাদের

ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া : ওবায়দুল কাদের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করা আয়ের সঙ্গে দামি ঘড়িগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

আপনি একজন কেতাদুরস্ত মানুষ। আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়ি ব্যবহার করেন। সুইডেনভিত্তিক অনলাইন ‘নেত্র’ একটি অনুসন্ধানী নিউজ করেছে, সেখানে তারা বলতে চেয়েছে, নির্বাচনী হলফনামায় আপনি যে বার্ষিক আয়ের তথ্য দিয়েছেন তার সঙ্গে আপনি যে সাতটি দামি ঘড়ি ব্যবহার করেন তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আপনার (ওবায়দুল কাদের) একটি ঘড়ির সঙ্গে সাদৃশ্য আছে, রোলেক্স ডে ডেট প্রেসিডেন্ট ঘড়ির, যেটির দাম ২৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আলজাজিরা নিউজ করেছে যে, বাংলাদেশে ওই অনলাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আমি আজ প্রথম শুনলাম। আমার যত ঘড়ি আছে একটাও আমার নিজের না, পয়সা দিয়ে কেনা নয়। আপনি বিদেশে গেলেন এসে আমাকে একটা ঘড়ি দিলেন, আমি নিলাম। ফর গড সেক, আমি বলছি এগুলো আমার দামি পোশাক, এগুলো আমার কেনা নয়। কিন্তু আমি পাই, অনেকে আমাকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে। তারা বিদেশে আছে, আসার সময় আমার জন্য একটা স্যুট নিয়ে আসে। গতকাল (বুধবার) সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কটি বানিয়ে নিয়ে এসেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই রকম আপনি যদি নিয়ে আসেন, আমাকে উপহার দেন, আমি কী করব। এটা গিফট আইটেম, এটা আমার নিজের নয়। এটা সড়কের সঙ্গে কোনো….। আমি তো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, আমি কোনো কন্ট্রাক্টর থেকে, আমি কোনো কন্ট্রাক্টরকে এখানে বসতেও দেই না। আমার সঙ্গে কোনো কন্ট্রাক্টরের বৈঠকও হয় না, যেটা হতো অতীতে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল পদোন্নতির জন্য কোনো তদবির হয় না। আমার এখানে চিফ ইঞ্জিনিয়ার নেক্সট সিনিয়র ম্যান, ১০ দিন সময় (চাকরির মেয়াদ) আছে, তাকেও আমি চিফ ইঞ্জিনিয়ার করেছি কয়েক দিন আগে। আগে তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে যাওয়া মানে হলো বিশাল ব্যাপার। এসব তো আপনারাই শুনতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কন্ট্রাক্টররা ইলেকশনের সময় আমাকে একটা অ্যামাউন্ট দিতে গিয়েছিল, আমি কিন্তু সরাসরি না করেছি। আমার ইলেকশনের টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন। আমার কারো থেকে টাকা নিতে হয়নি।’