শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > চতুর্থ পর্বে: আ.লীগ ৫২, বিএনপি ২২, জামায়াত ৫, অন্যান্য ৯

চতুর্থ পর্বে: আ.লীগ ৫২, বিএনপি ২২, জামায়াত ৫, অন্যান্য ৯

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ চতুর্থ পর্বে অনুষ্ঠিত ৯১টি উপজেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮ টির বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ফলাফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৫২ টিতে। আর ২২ টিতে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। বিএনপির অন্যতম শরিক দল জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৫টিতে। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৯ টি উপজেলায়।

রোববার সকাল ৮টায় দেশের ৪৩ জেলার ৯১ টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। জাল ভোট, কারচুপি, কেন্দ্র দখল, সংঘর্ষসহ নানা সহিংসতার মধ্য দিয়ে একটানা ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় পটুয়াখালীর দুমকি, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

স্থগিতগুলোর মধ্যে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ২টি কেন্দ্রে, পটুয়াখালীর দুমকীতে ৫টি কেন্দ্রে ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৯টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত থাকায় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ আছে। এগুলোর মধ্যে কুতুবদিয়ায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও দুমকী ও গজারিয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।

আওয়ামী লীগ: ৫২

খুলনার দাকোপে আবুল হোসেন ও ফুলতলায় শেখ আকরামুল হোসেন, ঝালকাঠি সদরে সুলতান হোসেন, যশোর সদরে শাহিন চাকলাদার ও কেশবপুরে এইচ এম আমির হোসেন, বটিয়াঘাটায় আশরাফুল আলম খান ও খুলনার তেরখাদায় শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কুমিল্লার মেঘনায় আব্দুস সালাম, পটুয়াখালী সদরে তারিকুজ্জামান মনি, বরিশালের বানারিপাড়ায় গোলাম ফারুক, দিনাজপুরের বোছাগঞ্জে ফরহাদ হাসান, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আলমগীর চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোসলেম উদ্দীন ও নাসিরগঞ্জে মনিরুজ্জামান সরকার, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রণবীর কুমার ও কমলগঞ্জে রফিকুর রহমান, টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে মোজহারুল ইসলাম ও মধুপুরে সারোয়ার আলম খান ও ভুয়াপুরে আব্দুল হালিম, পিরোজপুর সদরে মজিবুর রহমান খালেক ও মঠবাড়িয়ায় আশরাফুর রহমান, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আতাউল হক ও ফটিছড়িতে তৌহিদুল আলম, আনোয়ারায় তৌহিদুল হক, রাঙ্গুনিয়ায় মোহাম্মাদ আলী শাহ ও রাউজানে এসহানুল হায়দার, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পাবনার ফরিদপুরে খলিলুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আব্দুল লতিফ অমল, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিরোজ আল-মামুন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আব্দুস শহিদ ও কটিয়াদিতে আব্দুল ওয়াহাব, ভোলার মনপুরায় সেলিনা আক্তার, দৌলতখানে মঞ্জুর আলম খান ও তজুমুদ্দিনে ওয়াহিদউদ্দীন জসিম, ফেনীর ফুলগাজীতে একরামুল হক ও সোনাগাজীতে জেড এম কামরুল আনাম, ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ফারুক সিকদার, পাবনার ঈশ্বরদীদে মোখলেসুর রহমান বাবু, পটুয়াখালীর বাউফলে মুজিবুর রহমান, খুলনার রুপসা কামাল উদ্দিন, বরিশালের উজিরপুর হাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ফারুক আহমেদ, বাগেরহাটের মোল্লারহাটে শাহীনুর রহমান ও চিতলমারীতে মোল্লা মুজিবুর রহমান, ঝালকাঠির রাজাপুর মনিরুজ্জামান মনির, বরিশালের আগৈলঝারায় গোলাম মর্তুজা, ঝালকাঠির নলছিটিতে ইউনুস লস্কর, কিশোরগঞ্জের ইটনায় কামরুল হাসান, সিলেট সদর আশফাক আহমদ, পটুয়াখালীর গলাচিপায় শামজুজ্জামান লিখন।

বিএনপি: ২২

ঢাকার ধামরাইয়ে তমিজ উদ্দীন, শেরপুরের নালিতাবাড়িতে একেএম মোখলেসুর রহমান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আব্দুর রহিম, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জিয়াউল ইসলাম জিয়া, কক্সবাজারের রামুতে আহমেদুল হক, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে আব্দুল মজিদ, নাটোরের বড়াইগ্রামে একরামুল আলম, দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে খুরশিদ আলম, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় মোতালিব খান, সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দেলোয়ার হোসেন, নেত্রকোনার মদনে এম এ হান্নান, বরগুনার বেতাগি শাহজাহান কবির ও সুনামগঞ্জের শাল্লায় গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার, নড়াইল সদর মনিরুজ্জামান, সিলেটের কানাইঘাট আশিক উদ্দিন চৌধুরী, রাজশাহীরর তানোরে ইমরান আলী, বগুড়ার গাবতলীতে মোর্শেদ মিল্টন, নড়াইল গোবিন্দকুেন্ড মুনিরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদরে বিএনপির মিজানুর রহমান, কুমিল্লর বরুডায় আব্দুল খালেক চৌধুরী, গাজীপুর কালিয়াকৈরে হেলাল উদ্দিন।

জামায়াত: ৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জহিরুল ইসলাম ও সাতকানিয়ায় জসিমউদ্দিন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে তোফায়েল আহমেদ, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোস্তাফিজুর রহমান ও পিরোজপুরের জিয়ানগরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।

অন্যান্য: ৯

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সৈয়দ আহমদুল হক, লাখাইয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ ও আজমেরিগঞ্জে আতর আলী মিয়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর, কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল উদ্দীন ভুঁইয়া ও ভৈরবে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দীন এবং রাঙামাটির জুড়াছড়িতে জেএসএস প্রার্থী উদয় জয় চাকমা রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক