শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > চীন: ভার্চুয়াল ক্ষেত্রেই নারীর যৌন আবেদন

চীন: ভার্চুয়াল ক্ষেত্রেই নারীর যৌন আবেদন

শেয়ার করুন

বাংলাভ’মি২৪ ডেস্ক ॥ যখন অনলাইন তথ্য মাধ্যম সমূহের পাতায়, অনলাইন টিভিতে, ব্যবসায়িক প্রচারপত্র, বিজ্ঞাপন চিত্রসমূহ এবং সমসাময়িক চীন এর জীবনযাত্রার সকল ভার্চুয়াল ক্ষেত্রেই নারীর যৌন আবেদন ( উদাহরণ স্বরূপ, নিচের উচ্চমানের যৌন আবেদন মূলক চিত্র ধারণ করা হয়েছে কিউকিউ এর নারী বিভাগ হতে) এর উপস্থিতি এবং পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, তখন সম্প্রতি চীনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহরে পতিতাবৃত্তি ও পর্ণগ্রাফিতে ধ্বস নেমেছে ।

সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ বিশ্বকাপের সময়, প্রতিদিন সকল তথ্য মাধ্যমের পাতায় যৌনতাপূর্ণ ও অশ্লীল পোষাক পরিহিত নারীর ইঙ্গিতময় নতুন নতুন চিত্র স্থান পেত যেখানে ‘সুগন্ধি মাংস” ধরনের বর্ণনাও থাকত (香肉) এবং “যৌন আবেদনময়ী ফুটবল রমণীরা” (香肉)) যা নির্দেশ করে নারী যৌন উত্তেজনার উৎস) ।

বাস্তবিক মানব যৌনতা

অবশ্যই, নারী দেহ, নারী যৌনতা এবং মানবজাতির যৌনতা সাধারণ ভাবে বলতে গেলে নেতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করার কথা না। যৌনতা ও কামনা প্রদর্শন মানব স্বভাবের বহু পুরাতন লিপিবদ্ধ ইতিহাসের মতই একটা অংশ এবং চীন অবশ্যই প্রথম কোন দেশ বা সমাজ নয় যেখানে যৌনতা রয়েছে (এমনকি চীনের দীর্ঘ ইতিহাসে এটাই প্রথম নয় যে এমন একটা বিষয় আলোচিত হয়েছে)।

ইউরোপ, আমেরিকা, প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর প্রত্যেক সমাজেই তার নিজস্ব সংস্কৃতি, সমাজ ও ব্যক্তির মধ্যে ওতপ্রোতভাবে যৌনতা থাকার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক। বিশেষ করে বিস্তৃত তথ্য মাধ্যমের সমসাময়িক ধারনার আলোকে এ প্রশ্ন সেই পুরাতন বিষয়কেই নতুনভাবে চালনা করছে।

পুরাতন পেশা

পতিতাবৃত্তি হলো পৃথিবীর “সবচেয়ে পুরাতন একটা পেশা”, যদিও এখনও অনেক দেশ ও আইন জীবন ধারনের এই পন্থাকে নিষিদ্ধ এবং হীনতা হিসেবেই দেখে।

পতিতাবৃত্তির নৈতিকতার তর্ক সীমাহীন এবং অবশেষে ব্যক্তিগত এবং বিষয়ভিত্তিক হলেও পতিতা/বেশ্যা দের চাহিদা অনস্বীকার্য এবং অবদমনীয়। স্বপ্ন এবং ইচ্ছা পুরণের নিমিত্ত হিসেবে যৌনকামনা চরিতার্থ ও উত্তেজনা প্রশমনের উৎস হিসাবে নারীর (এবং স্বল্প পরিমাণে পুরুষের) চাহিদা ছিল, আছে এবং সব সময় থাকবে।

যৌনতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, মালিকানা, সংস্কৃতি এবং সমাজ এর চরম কিছু জিজ্ঞাসা এই ক্ষেত্রেই বেশ আলোচনার সুযোগ পায়।

যৌন, যৌনতা, অর্থনীতি এবং অধিকার ভুক্ত

নারীর যৌনতা এবং দেহ কার অধীন? আদর্শগতভাবে বলা যেতে পারে কারও না, যদিও দৃঢ় বাস্তবতায় এর উত্তর হলো: সে যে সর্বোচ্চ শক্তির সহায়তায় তার দাবীর সমর্থন আদায়ের ক্ষমতা নিয়ে দাবী উত্থাপন করে-হয়তো সেটা কখনও বিনিময় মূল্যে কিংবা নারী অসম্মতি স্বত্তেও।

সেটা হতে পারে একটি পরিবার, একজন ছেলে বন্ধু, একজন স্বামী, একটি মডেলিং কিংবা বিজ্ঞাপন সংস্থা, সংগীত/সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, ধর্ম, কোন দালাল অথবা কোন সরকার নিজেই, যে কেউ বা যে কোন কিছুই প্রায় সর্বদাই একজন নারী, তার দেহ, তার যৌনতা, প্রজনন, মন, সম্পর্কসমূহ এবং পছন্দের উপর আপন কর্তৃত্ব এবং/বা অধিকার দাবী করে- এবং প্রায় সর্বদাই তার (নারীর) একক শক্তি সামর্থ্যের থেকে বেশী শক্তির কেউ বা কিছু হয়ে থাকে।

অর্থনৈতিকভাবে, নারীর দেহ এবং নারীর যৌনতা এক মূল্যবান পণ্য। অর্থনৈতিক পণ্য হিসাবে নারীর এই অবমূল্যায়ন হ্রাস করতে কেউ পছন্দ করুক বা নাই করুক, দুনিয়ার প্রত্যেক সমাজেই এই ব্যবস্থা বাস্তবিক এবং নিত্য তাই তা কোন স্থানের, সমাজের এবং সংস্কৃতির উট, গরু, ভেড়া কিংবা ঘোড়াই হোক না কেনো অথবা অন্যদিকে ডলার, ইউরো, ইয়েন বা ইউয়ান এর চুক্তি।

থালাবাসন ধোয়ার সাবান থেকে গাড়ী, খুশকি নিবারক, বিয়ার সব কিছুই বিক্রয়ের জন্য পুরোমাত্রায় নারীর সৌন্দর্য এবং যৌনতাকে ব্যবহার করা হয়, এমনকি পারিবারিক জীবনে ও তাই। উপযুক্ত যৌনতা এবং সৌন্দর্যের অধিকারী নারীগণ কে তাদের ভাবমূর্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির জন্য উপযোগী হিসাবে খুঁজে বের করা হয় ।

গাড়ী ও বিয়ার এবং খেলাধূলার জন্য ভিন্নতর যৌন আবেদন ও ভাবমূর্তি ব্যবহার করা হয় যা গৃহস্থালী পন্যের জন্য ব্যবহার থেকে ভিন্নতর, কিন্তু এ সবই একটা নির্দিষ্ট স্তরের বা ভিন্নতর যৌনতা ও শারীরিক আবেদনেরই সমষ্টি। প্রায় স্বগোত্রভোগীর মত নারীরা নিজেদের যৌন আবেদন তৈরীতে, নিজেকে উপস্থাপন ও গঠনে এবং বিক্রিতে নিজেরাই উৎসাহিত করে, নারীরা এটা করে অন্য পুরষ, প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের নিজেদের আরও বেশী যৌন উত্তেজক ও দৈহিক আবেদনময়ী গঠনের করে তোলার নিমিত্তে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা হয় নারী, নারীর দেহ, নারীর ভাবমূর্তি এবং তাদের যৌন আবেদন দিয়ে বা এগুলোর ভেতর থেকে, এবং এখান থেকেই পতিতাবৃত্তির অপরাধজনিত বিষয় উত্থাপিত হয়: যদি ব্যবসা ও বাণিজ্যেও প্রসারে, ব্যবহারে এবং আর্থিক লাভের জন্য (এবং সরকার কর্তৃক শেষমেষ কর পক্রিয়ার মাধ্যমেও) নারীর যৌনতা গ্রহণ যোগ্য হয় ৃতবে কেনো বিছিন্নভাবে একা নারীর জন্য একই কাজ অপরাধ বলে পরিগণিত হবে? যদি কোন নারীর জন্য তার নিজ দেহ ব্যবহার ও প্রদর্শন করে আর্থিক লাভ অর্জন অপরাধ হবে, কোনো তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নারীর যৌনতাকে এমনকি কিশোরী মেয়েদেরকেও গোপনে যৌন উত্তেজক ও আপত্তিকর উপায়ে ব্যবহার ও প্রদর্শন করেই মোটা অংকের অর্থ উপার্জন অপরাধ হবে না?

নিষ্পেষণ, অপরাধ প্রবণতা এবং রোধ

সামষ্টিক সাফল্য অর্জনের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের জন্য সমাজ প্রকৃতপক্ষে সংস্থা নির্ভর। কোন সমাজে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চরম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা প্রদান অথবা কোন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই চরম স্বাধীনতা ভোগী ব্যক্তিদের নিয়ে কোন সমাজ সংগঠন স্বাভাবিকভাবেই অসম্ভব। তাহলে সমাজের কঠোর প্রচেষ্টাটি কি, স্বাধীনতা এবং বাধ্যবাধকতার মাঝে একটা ভাসমান সামঞ্জস্য রক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা প্রনয়ণ করাই সমাজের প্রচেষ্টা- অত্যধিক বাধ্যবাধকতা আবার ব্যক্তির মাঝে বন্দিত্ব ও অনৈতিকতার ভাব নিয়ে আসে, অধিক স্বাধীনতা ও সমাজকে সুষ্ঠুভাবে তার প্রয়োজনীয় কাজ করতে দেয় না।

যৌন এবং যৌনতা বিষয়েও এই একই ব্যাপার সত্য- অত্যধিক যৌন স্বাধীনতায় রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং এই রোগ অনিচ্ছুক ও অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের মাধ্যমে পিতামাতার মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। যাই হোক অন্যদিকে কঠোর দমন (বিশেষভাবে সাংস্কৃতিক বিস্তৃত স্তরে) মানসিক ও অনুভূতিগত ক্ষতিসাধন করে যা আবার শারীরিকভাবে, আত্মীয়তার সম্পর্কে বা আত্ম অপব্যবহারের এবং স্বভাবিক আনন্দে, প্রাকৃতিক মানবীয় সম্পর্কে ও যৌনতায় এমনকি সামাজিক ভাবে স্বীকৃত সম্পর্কের স্বাভাবিকতায় অংশগ্রহণে অক্ষমতার সূচনা ঘটায় এমনকি সামাজিকভাবে স্বীকৃত সম্পর্কের স্বাভাবিকতায়।

তাই, এটা একদিকে কৃত্রিম যৌনতা উদ্রেককারী, অর্থনৈতিক লাভের স্বপ্রণোদিত কর্মের উদ্রেক ও সাধের সাঁড়াশির মত চাপ এবং অন্যদিকে মানবীয় যৌন আচরণের সামাজিক নিষ্পেষণ (অনেক সময় ধর্মীয় ও সরকারী সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করা হয় অথবা উৎসাহিত করা হয়) যা সমাজের ব্যক্তি পর্যায়ের সদস্যদের মানবতাকে যুক্ত করে এই সব মানসিক ও অনুভূতির সঞ্চারণ জনিত চরম সামঞ্জস্যপূর্ণ ফলাফল এর সাথে না জয়ী ব্যবস্থায় যা ভৌত বিশ্বে মানুষের নিজেদের মধ্যে অন্যদের সাথে সম্পর্কের সীমানায়।

我首先认为应当尊重性工作者,她们用青春换取金钱,用辛苦的劳动换取报酬,这是无可厚非的,她们比她们的顾客,要高尚得多,即使大家都是不合法的。无疑,嫖客比女性性工作者多,并且大多是拿着不合法的钱来消费的,这个不合法跟她们的不合法不同,他们所做的,或许在整个世界范围内都是不合法的,而她们的行为和收入则不是。

প্রথমেই আমি বলব যে আমি বিশ্বাস করি যৌনকর্মীদের সম্মান করা উচিৎ, তারা তাদের যৌবন অর্থের জন্য বিনিময় করে, কিছু পাওয়ার জন কঠোর পরিশ্রম করে, এই নিয়ে কোন সমালোচনা করা কারন নেই, তাদের খদ্দেরদের সাথে সম্পর্কে তাদের অনেক বেশী সম্মান পাওয়া উচিৎ, যদিও তারা এসব করে অবৈধ ভাবে। নিঃসন্দেহে নারী যৌন কর্মীদের খদ্দেরের সংখ্যাই বেশী, এবং খদ্দেরদেরও একটা বিপুল অংশ অবৈধ অর্থই ব্যবহার করে, যদিও এই অবৈধতা এবং এই যৌন কর্মীদের অবৈধতা একই নয়, খদ্দেররা সবই করছে অবৈধভাবে বলেই, হয়ত পুরো বিশ্বই অবৈধ কর্মে লিপ্ত , কিন্তু যৌন কর্মীরা যা করছে তা নয়, তাই না।

“বিশ্বে অসাম্যতা” (香肉)) পর্ণগ্রাফী ও অন্যন্যর উপর আক্রমণ বিষয়ে (关于扫黄以及其他ৃ)

যদিও এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য পেশাগত যৌনকর্মীদের এড়িয়ে যাওয়া (বা সমালোচনা করা) নয়, এই ব্লগার এর এই বিষয় আলোচনা করা উপযুক্ত কারন যদিও যৌন কর্মীদের চাহিদা তাদের পেশা তৈরী করে দিয়েছে (যা হয়ত তারা অনেক সময় জোরপূর্বক একটা গোষ্ঠীর অংশে পরিণত হয় যদিও অধিকাংশ যৌন কর্মী পুরোপুরি স্বপ্রণোদিত ভাবে নিয়োজিত হয়না), এটা মূলত সেই সব নারী যারা এই কাজ করে থাকে বরং তারা নয় যারা নারীদের ঐসব সেবা দাবী করে এবং যারা সামাজিক বৈধতা ও দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপক পরিমাণে গবেষণা ও লজ্জার কারন হয়।

酒后驾车、公共场所撒野、吸毒、乱伦、嫖娼等种种恶习,在娱乐圈不少的明星眼中似乎都算不上什么大事。所谓饱暖思淫欲,不差钱的明星们,既有嫖的本钱,更有嫖的闲心。

মদ্যপান ও গাড়ী চালনা, জনগণের মধ্যে খারাপ আচারণ, নেশাদ্রব্য গ্রহণ, অমরত্ব, পতিতার নিকট মন, আনন্দ প্রদান চক্রের অনেক উজ্জ্বল তারকাদের চোখে এইসব তেমন কোন বিষয় নয়। ধনী, তথাকথিত “যদি কেউ ভাল খাদ্য পায় তবে সে আরাম আয়েশের চিন্তা করে” তারকারা পতিতাদের নিকট গিয়ে প্রশান্তি ও আনন্দ পায়।

০০৭ ২৬ টি শহর আনন্দ প্রদানের উৎস হিসাবে পর্ণ জিনিস পড়া, পুরষ তারকাদের কর্তৃক পতিতা নিয়োগ এসব দূর করেছে। (২৬ 市集体扫黄 盘点娱乐圈"招妓嫖娼"的男星)

“扫黄”整体还远未进入“深入区”。为什么?因为查黄却不涉黑、涉腐(而这是绝不可能的,因为黄不可能没黑保护和参与,而对黑来讲,警方若说不知道那是渎职,警方知道了没办,那是庇护。所以怎么看,都说明很大的问题)。从目前披露的“扫黄”成绩看,类似北京整顿高级夜总会“天上人间”、重庆突查“希尔顿酒店”仍是个别例子。

এই পর্ণ দূরীকরণ “সমাপ্তির” কাছে ধারে পৌঁছানোর পূর্বে আরও অনেক দূর যেতে হবে। কেন? কারন গবেষণায় এখনও অপরাধী দলকে, গভীর দুর্নীতিকে (এবং এটা হতে পারে না, কারন পর্ণ এবং পতিতাবৃত্তি সুসংগঠিত অপরাধচক্র ছাড়া টিকে থাকতেই পারে না এবং অপরাধ বিষয়ে পুলিশ তাদের সঠিক কর্ম করছে না, এবং যদি তারা জানেই যে তাদের কিছু করার নেই, অপরাধ দলগুলো তাই সুরক্ষিত থেকে যায়। সামষ্টিক ভাবে এই সব কিছুই একটা ব্যাপক সমস্যা।) দেখা হচ্ছেনা। ‘পর্ণকে দূর করা’-র কাজে জনগণের ঘোষণায় সাম্প্রতিক সাফল্যের দিকে তাকালে, বেইজিং এর উচ্চ শ্রেণীর নাইট ক্লাব ‘ভদ্রলোকের স্বর্গ পরিচ্ছন্ন করন এবং চংকিং এর ‘হিলটন বার’ এর বিষয় কেবল ভিন্ন ঘটনাই।

১৮৫৫১৯৭৩৪ সাম্প্রতিক পর্ণ দূরীকরণ প্রসঙ্গে(关于最近的扫黄)

পুনরাবৃত্তির চক্র

এবং এভাবে ব্যক্তিগত হীন ইচ্ছা চরিতার্থ করার মানসে এবং একই সাথে পণ্য বিক্রি ও আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নারীর যৌনতাকে ব্যবহার এ উভয় ক্ষেত্রেই যৌন পণ্য, নারী ও মেয়েদের জোরপূর্বক ও নিয়োগের মাধ্যমে যৌনকর্মীদের কাতারে সামিল করার জন্য অপরাধ চক্রের অংশগ্রহণ, এই কার্যকলাপের মাধ্যমে বৈধ এবং অবৈধ উভয় ভাবেই বোধগম্য ও প্রবৃদ্ধিজনিত লাভ হিসাবে নারীর চাহিদা দেখলাম- এখন তাহলে সমাজ ও আইনের দৃষ্টিতে কে আসলে এর জন্য দায়ী হবে?

চীনের সমাজ ও সংস্কৃতির চরম আধুনিকায়নের মধ্যে এবং তার প্রথাগত সংস্কৃতি ও যৌনতার বাইরে বিদেশ থেকে ব্যাপক ধ্যান ধারণা গ্রহণের মধ্যে আছে। জাপান ও কোরিয়ার এমনকি আমেরিকার পর্ণ ওয়েবে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার মিডিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চীনে মিডিয়াও প্রত্যেক সম্ভাব্য উপাত্তে নারীর যৌন আবেদনের ধারণাকে সার্বিকভাবে বৃদ্ধি করে চলেছে। চীনের নারীদের মধ্যে এই ধারণার সাথে একাত্ম হবার প্রয়োজনীয়তা প্রয়োগকৃত এবং দৈহিক এই উভয় ভাবেই প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে এবং এই ধারনার কারনে চীনের নারীদের অনেকের মাঝে মধ্যে ধীরে ধীরে নিরাপত্তাহীনতা ঢুকে পড়ছে।

ভুক্তভোগীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ভণ্ডামি

পতিতাবৃত্তি সম্ভবত কর্মসংস্থানের কোন আদর্শ পেশা নয় বলেই, যেহেতু যতক্ষণ যৌনকর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হবে ধনী খদ্দেরদের দ্বারা, পুষ্ট হয় মিডিয়ার যৌন আবেদন জনিত উপস্থাপনের চরম চাহিদায়, রক্ষিত হয় সুসংগঠিত অপরাধ জগত এবং সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অকৃতকার্যতার দ্বারা এবং যতক্ষণ এই সকল প্রতিষ্ঠান নারী ও মেয়ে যারা প্রকৃত কর্মটি সাধন করে তাদের আর্থিক লাভ দেবে, যাদের এই ব্যাপক ইস্যুতে সবচেয়ে কম কিছু করা আছে তাদের দোষারোপ করা এবং আক্রমণের জন্য ইঙ্গিত করা খুবই বেঠিক এমনকি ভণ্ডামি ও মনে হয়।

যৌনতা ও আকাঙ্খা বাস্তবতারই একটা অংশ। এক দিকে যখন মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি প্রকাশের ও পালনের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমিত করার চেষ্টা করা হয় তখন অন্যদিকে কৃত্রিমভাবে চরম-উত্তেজনা সৃষ্টিকারক এবং যৌনতার দৃষ্টি কাড়া আকর্ষক উপাত্ত সমাজের সদস্যদের মাঝে অসামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বন্দের সূচনা ঘটায় এবং কর্মক্ষম বিপুল জনগণ এর উচিৎ নয় কষ্ট ও দায় নিয়ে বিদায় নেয়া।

আমার নাম লুলু, বয়স ২০ বছর, আমার ও পেশা আছে বলতে চাই, যদিও বাস্তবিক আমার কোন দাপ্তরিক পেশা নেই, বিশাল বেকার সমাজের আমিও একজন অংশীদার, বলতে চাই আমিও বেকার, আমার এখনও কিছু করার আছে, প্রতিদিনই আমি নাইটক্লাব, স্থানঘরে, উচ্চশ্রেণীর তারকা পূর্ণ অতিথিশালা এইসব স্থানে যাই. শুনেই বুঝতে পারছো আমি কি বলছি, এই ধরণের পেশা নিসন্দেহে লজ্জাজনক, ** কে হংকং এ ‘চিক’ বলে এবং এখানে আমরা এদের বলি ‘ছোট বোন’।

আমি আমার পিতামাতাকে দোষারোপ করি না, এটা আমার নিজস্ব পছন্দ।

আমি সত্যিই সুশ্রী, হয়তো মডেল কিংবা সিনেমার নায়িকার মত নই, কিন্তু যখন আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই আমার দিকে কেউ না তাকিয়ে পারে না। যদি তুমি আমাকে দেখো তবে হয়তো প্রেমেই পড়ে যাবে, কিন্তু বিয়ে করতে চাইবে না, কারন আমার কোন চাকুরী নেই এবং আমার পরিবারের কোন তেমন ভাল অবস্থা নেই, আমার মা অসুস্থ এবং বাবার কাজ নেই, সে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য কিছু ছুটা কাজ করে। তারপরও, সত্যি আমি আমার পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞ কারন তাদের বদৌলতে আমি একটা নান্দনিক মুখশ্রী ও দেহ পেয়েছি। যদি আমি কুৎসিত হতাম বে ভাবতাম আমি কখনই কাজ করে খেতে পারতাম না। সত্যি আমি আমার পিতামাতাকে দোষ দেই না, এটা আমার নিজস্ব পছন্দ।

উচ্চ বিদ্যালয় হতে গ্রাজুয়েট হবার আগের বছর, আমি সহপাঠীদের সাথে পড়তাম এবং কলেজের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম যদিও আমি একটা দ্বিতীয় শ্রেণীর সাধারণ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু এসব কিছুর পরেও আমার একটা দৃঢ় ভীত ছিল। কিন্তু যখন আমি ভর্তির অনুমতিপত্র দেখলাম আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম, অন্যান্য ফি সহ ভর্তি ফি ১০,০০০ এর উপরে। যদি আমি আমার পিতামাতার অস্থি ভস্ম বেঁচে দেই তাতেও আমার অতটা অর্থ হবে না। আমি সত্যি কেঁদে ফেলেছিলাম। গোপনে আমি ভর্তি ও বিজ্ঞপ্তি ছিঁড়ে ফেলেছিলাম, বাবা-মাকে জানালাম, আমি কৃতকার্য হয়নি, বাবাকে জিজ্ঞাসাও করলাম সে কোন কাজ যোগাড় করে দিতে পারবে কিনা। সে জানালো, ‘কাজ নেই, কিভাবে আমি তোমাকে কাজ খুঁজে দেব?’ তাই আমি আমার নিজ উপায়ে কাজ খোঁজার চিন্তা করলাম।

মিঃ রাইট পর্ণ বিতারিত করার পর একজন “ছোট বোন” (“小姐”进了扫黄局后 )

ভিন্ন ভিন্ন জীবন, ভিন্ন ভিন্ন কারন

প্রত্যেকেরই নিজস্ব পছন্দ থাকে, অনন্ত তারা যাদের নিজের মত করে পছন্দ করার ক্ষমতা রয়েছে ( যদিও ঘটনা চক্রেই সকলে বাধ্য হয় না অনেকে বাধ্য হয় সত্যিকার হুমকি ও নৃশংসতার কারনেই), কিন্তু ফলাফল কিন্তু একই। অপরাধী দল, কর্পোরেট বানিজ্য জগত, তারকাজগত ও ব্যবসায়ীদের ধরা ছোঁয়া ও গুণতির বাইরে রেখে কেবল নারীর উপর আক্রোশ দেখানো এই সমস্যা সমাধানের পুরানো ও অকার্যকর প্রচেষ্টা।

খদ্দের ও দালালদের ছেড়ে কেবল পতিতাদের দোষরারোপ করা মানেই হলো ভাটিতে পানির গতি রোধ করা যখন উজানে ঠিকই পানি উপচে প্রবাহিত হতে থাকে। উৎস নিয়ে কিছু করা না গেলে তুমি বেশীর পক্ষে যা করতে পার তা হলো সেচ কাজ।

একটা আদর্শ বিশ্বে টিকে থাকার জন্য কাউকে তার দেহ এবং যৌনতা বিক্রির প্রয়োজন বা বাধ্য হতে হয় না, কিন্তু যতক্ষণ আমরা বাস্তবতার মধ্যে বসবাস করি এবং যতক্ষণ বাস্তবতা দেহ ও যৌন বিষয় দাবী করে এবং যারা এই দাবী বা চাহিদা পূরণ করতে সচেষ্ট তারাই শাস্তি পায় এবং যারা অন্যের দেহ নিজের হীন ইচ্ছে চরিতার্থে সৃষ্টি ও ব্যবহার করে এবং আর্থিক লাভ অর্জন করে ততক্ষণ কোন কিছুতেই কোন কিছু হবে না।